চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

আমাদের চুপ করানো যাবে না

অনলাইন ডেস্ক

৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৪:০৮ অপরাহ্ণ

ভারতে তিনমাস আগে অসহিষ্ণুতা ও গণপিটুনির মতো ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন দেশটির ৪৯জন বুদ্ধিজীবী। ওই তালিকায় নাম ছিল রামচন্দ্র গুহ, শ্যাম বেনেগল, অনুরাগ কাশ্যপ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেনদের। বিহারের এক আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সমস্ত বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধেই এফআইআর হয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতে ফের সরব হলেন ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ভারতের অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ থেকে ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-১৮০জন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষ স্বাক্ষর করে লিখলেন, ‘আমাদের চুপ করানো যাবে না।’

ওই চিঠিতে নাসিরউদ্দিন শাহসহ বাকিরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠি কী করে রাষ্ট্রেদ্রোহ হতে পারে?

তাঁদের বক্তব্য, মানুষের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এটা বিরুদ্ধ স্বর দমন করার নিপুণ ষড়যন্ত্র।

লেখক অশোক বাজপেয়ী, জেরি পিন্টো, শিক্ষাবিদ ইরা ভাস্করের মতো ১৮০ জন বিখ্যাত মানুষের স্বাক্ষর রয়েছে এই প্রতিবাদপত্রে। তাঁরা ওই চিঠিতে খোলাখুলি অপর্ণা-সৌমিত্রদের সমর্থন জানিয়েছেন। স্পষ্টই বলেছেন, আইনের অপব্যবহার করে তাঁদের সহকর্মীদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বুদ্ধিজীবীদের চিঠি নিয়ে বিহারের মুজফফরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সূর্যকান্ত তিওয়ারির কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী। সেই পিটিশনকে ঘিরে একটি অর্ডার পাস করেন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই অর্ডারের ভিত্তিতেই সদর পুলিশ স্টেশনে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুধীর কুমার ওঝা। 

নিজের অভিযোগে সুধীর কুমার বলেছেন, এই চিঠি লিখে তাঁরা দেশের মান ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিশ্রমকে ছোট করতে চেয়েছেন। তাঁরা দেশদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমি এফআইআর করেছি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আইপিসির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহীতা, অস্থিরতা তৈরি করা, ধর্মীয় ভাবাবাগে আঘাত, শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টার মতো অভিযোগ। সূত্র : দ্য ওয়াল 

পূর্বকোণ/টিএফ

শেয়ার করুন