চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইমপিচমেন্ট দাবি বিরোধীদের

সেই ফোনালাপের কথা স্বীকার ট্রাম্পের

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য একজন শক্তিশালী প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেন।

ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা এ রাজনীতিককে নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরমধ্যেই জো বাইডেনকে নিয়ে তার এক ফোনালাপ ফাঁস হলে হৈচৈ পড়ে যায়। এতে দেখা যায়, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পুত্রকে নিয়ে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বার বার চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তীব্র সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ওই ফোন কলের কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে এ ঘটনায় প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের আওয়াজ তুলেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। ইউক্রেনের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভøাদিমির জেলেনস্কি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মাথায় ট্রাম্পের সঙ্গে তার এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনেও ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে।

ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তকাজ পরিচালনা করছে প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি। সবকটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। একটি কংগ্রেশনাল প্যানেলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদের একজন সদস্যের দাবি, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টই ‘একমাত্র সমাধান’। রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি-র সঙ্গে ফোনালাপে জো বাইডেনের বিষয়ে তার কথা হয়েছে। তবে মূলত ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাতেই ওই ফোন কল করা হয়েছিল।

আলোচনার ফাঁকে দুর্নীতি এবং জো বাইডেনের বিষয়েও তাদের মধ্য কথা হয়েছে। আমরা চাই না যুক্তরাষ্ট্রের একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার পুত্র দুর্নীতির জন্ম দিক; যা জো বাইডেন ও তার ছেলে ইউক্রেনে করেছে।

এ ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি শুধু একজন বিদেশি নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপই নয়; বরং এর চাইতেও বেশি কিছু। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ার সূত্রটি তার পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, জো বাইডেন ইউক্রেনে তার ছেলের স্বার্থরক্ষায় কাজ করেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত তার এ দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। অবশ্য ২৫ জুলাইয়ের ফোন কলে ইউক্রেনের নেতা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত সম্ভব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট