চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চন্দ্রযানের ব্যর্থতা ভুলে গগনযানে ফিরছে ভারত

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার এই গগনযান মিশনের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। বিগত এক বছরে ইসরো এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র চেয়ারম্যান কে সিভান গতকাল এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো। আর এর মাধ্যমে তারা বিক্রমের ব্যর্থতা ভুলে গগনযান মিশনে ফিরতে চাইছেন।

আইআইটি ভুবনেশ্বরের অষ্টম কনভোকেশনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান। এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম কোনো ভারতীয় মহাকাশে পাড়ি দেবেন। তিনি মহাকাশে যাবেন আমাদের নিজস্ব তৈরি রকেটেই। এটাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। ইসরোর প্রত্যেকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইসরোর গগনযান প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো মহাকাশে তিন সদস্যের একটি দল বা ক্রু পাঠানো। তারা অন্তত সাতদিন মহাকাশে থাকবেন। ২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার এই গগনযান মিশনের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। বিগত এক বছরে ইসরো এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

২০২১ সালের মধ্যে মহাকাশে প্রথম কোনো ভারতীয়কে পাঠানো গগনযান মিশনের উদ্দেশ্য হলেও, তার আগে অন্তত দু’বার মানবহীন ফ্লাইট মহাকাশে পাঠাবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরোর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা প্রথম হিউম্যান স্পেসপ্লেন বা মানব মহাকাশ বিমানটি পাঠাব। দ্বিতীয় মানব মহাকাশ বিমানটি যাবে ২০২১ সালে। এই দুটি অভিযানের কোনওটিতেই অবশ্য মহাকাশযানে মানুষ থাকবে না। যদি ২০২১ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন সফল হয় ভারত হবে চতুর্থ দেশ। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ইতোমধ্যেই এই লক্ষ্য পূরণ করেছে। ইসরোর এই গগনযান মিশনের খরচ আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে, চাঁদে আজ থেকেই রাত শুরু হওয়ায় চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের আশা শেষ। তবুও অদম্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা গগনযান মিশন নিয়ে পূর্ণোদ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট