চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অধিকাংশই যুবরাজবিরোধী

গত ৮ মাসে শিরñেদ- শূলে মৃত্যুদ- কার্যকর ১৩৪ জনের

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০৯ পূর্বাহ্ণ

যুবরাজের সমালোচনাকারী ঐসব হতভাগ্যের ওপর মধ্যযুগীয় নিয়মে ভয়াবহ নির্যাতনও চালানো হয়
বলে অভিযোগ।

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : চলতি বছরের আট মাসে ১৩৪ জনের প্রাণ সংহার করেছে সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠী। প্রাণ হারানো এসব মানুষের মধ্যে অধিকাংশই দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিরোধী ছিলেন। যুবরাজের সমালোচনা করাই কাল হয়েছে তাদের। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

‘অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি’ প্রকল্পের একটি প্রতিবেদনে সম্প্রতি এই তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। সম্প্রতি জেনেভাতে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিখ্যাত আইনবিদ ব্যারোনেস হেলেনা কেনেডি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে চলতি বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। আরও প্রায় ২৪ জনের মৃত্যুদ- কার্যকরের তালিকায় রয়েছে। এদের মধ্যে তিন শিশুসহ, যুবরাজের বিরোধী, ধর্মীয় প-িত ও মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন।

আর এরইমধ্যে যাদের শিরñেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে শিশু বয়সে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন ছিল। ১৮ বছর হওয়ার আগেই সৌদি রাজপরিবার বিরোধী এক বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাছাড়া চলতি বছরে তিন নারী ও ৫১ পুরুষের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সৌদি আরবে যেসব বন্দির শিরñেদ কিংবা শূলে চড়িয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধী। তারা বিভিন্ন সময় সৌদি যুবরাজের সমালোচনা করেছেন। তাদের ওপর মধ্যযুগীয় নিয়মে মৃত্যুদ- কার্যকরের আগে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়।

মৃত্যুদ- পাওয়া বাকিদের মধ্যে শিয়া মতাদর্শ প্রচারের অভিযোগে ৫৮ জন বিদেশি নাগরিক, পাকিস্তানের ২১, ইয়েমেনের ১৫, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪, জর্ডানের ২, নাইজেরিয়ার ২, সোমালিয়ার ১ ও অজ্ঞাত ২ ব্যক্তি রয়েছে।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সৌদি আরব একদিনে সর্বোচ্চ ৩৭ জনের গণশিরñেদ করে, যা ওই সময় বিশে^ ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছিল।

শেয়ার করুন