চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় ৫০ বছরে ২৯০ কোটি পাখি বিলুপ্ত

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ১৯৭০ সাল থেকে অর্থাৎ বিগত প্রায় ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় প্রায় ২৯০ কোটি পাখি বিলুপ্ত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পাখির সংখ্যা ২৯ শতাংশ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যা সংখ্যায় প্রায় ২৯০ কোটি। উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পাখির সংখ্যা এমন হারে কমে যাওয়াকে পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

যদিও প্রাণিসম্পদ কমে যাওয়ার হিসাব রাখাটা অতটা সোজা নয়, তবে পাখির ক্ষেত্রে এটা তুলনামূলক সহজই। কারণ পাখিকে নির্দিষ্ট মনিটরিংয়ে রাখা সম্ভব। বিগত ৫০ বছর যাবত করা বিভিন্ন গবেষণার তথ্য এক করেই গত বৃহস্পতিবার এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিলুপ্ত হওয়া এসব পাখিগুলোর ৯০ শতাংশই ১২টি পরিচিত প্রজাতির পাখি। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে চড়ুই, ফিঞ্চ, কোকিল, গারক, গেলা, তীরের মতো প্রজাতির পাখি। অন্যদিকে শুধু উত্তর আমেরিকার বনাঞ্চলজুড়েই বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি পাখি।

গবেষকদের মতে, এত বিপুল পরিমাণ পাখি বিল্প্তু হয়ে যাওয়া পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর মানে বোঝা যাচ্ছে প্রাণিদের স্বাভাবিক যে চক্র সেটি বিঘ্নিত হয়েছে। এর ফলেই পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে ও যাচ্ছে। এর পেছনে মূল কারণ বাস্তুসংস্থানের অভাব ও খাদ্য-শৃঙ্খল নষ্ট হওয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার চিত্র বলছে, পাখি বিলুপ্ত শুধু এ দু’দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপীই হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাখিদের বিলুপ্তির পেছনের মূল কারণগুলোর মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন, নগরায়ণ, বনাঞ্চল ধ্বংস উল্লেখযোগ্য। তবে এর প্রধান দায় মানুষের। কারণ প্রাণিজগতের মধ্যে মানুষের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রাণিচক্র রক্ষায় মানুষ যথাযথ ভূমিকা রাখছেনা। এছাড়া মানুষের বিভিন্ন কর্মকা-ের প্রভাবও পাখিসহ অন্যান্য প্রাণিদের ওপর পড়ছে। এছাড়া অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে- বাসভূমি নষ্ট হয়ে যাওয়া, সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান নষ্ট হওয়া, কৃষিজমিতে ফলন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট