চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শেষ হলো পবিত্র কাবা ঘর ধোয়ার কাজ

সৌদি আরব সংবাদদাতা

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১১:৩১ অপরাহ্ণ

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ঘর কাবা। পবিত্র কাবার ভেতরের অংশ প্রত্যেক বছর দু’বার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় চলতি বছর প্রথম বারের মতো পবিত্র কাবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়।

এ সময় সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা নগরীর গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফ পরিচ্ছন্নতার কাজে নেতৃত্ব দেন।

মক্কার গভর্নর কাবা শরিফের প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কাবা চত্বরে আসেন। আগে থেকেই কাবার গায়ে বিশেষ সিঁড়ি লাগানো ছিল। এরপর সবাই কাবা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ধোয়া-মোছার কাজ করেন।

কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। এ সময় কাবা শরিফের চারদিকে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখতে দেখা যায়। পবিত্র কাবা ধোয়ার পর বের হয়ে হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতঃপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।

মহররম মাসে পবিত্র কাবা ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবার গিলাফ বদলানো হয়। আর কাবা ধোয়াকে সৌদি সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে। কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্য, নামাজে দণ্ডায়মানদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ (সূরা হজ: ২৬)

পূর্বকোণ/অভি/আফছার

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট