চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুসলিম ম্যাগাজিনে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন অর্থায়ন

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১২ পূর্বাহ্ণ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নের খবর ফাঁস হওয়ার পর পত্রিকাটি থেকে দুজন মুসলিম কর্মী পদত্যাগ করেন। পাঠকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন,এর মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে
বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ব্রিটিশ মুসলিম কিশোরীদের জন্য প্রকাশিত একটি অনলাইন ম্যাগাজিনকে গোপনে অর্থায়ন করতো দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন হতো বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভার জানিয়েছে।

এই অর্থায়নের খবর ফাঁস হওয়ার পর ম্যাগাজিনের মালিকের সঙ্গে প্রাক্তন মুসলিম কর্মী ও মুসলিম পাঠকদের মধ্যে তিক্ত বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।

পজ-জো মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৫ সালে যাত্রা করে লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘সুপারসিস্টারর্স’। পূর্ব লন্ডন থেকে প্রকাশিত এই সংবাদমাধ্যমকে ‘সামাজিক গোষ্ঠীর জন্য অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করা হতো। ‘সুপারসিস্টারর্স’ এর প্রচারণার ক্ষেত্রে তারা বলতো, এটি পূব লন্ডনে মুসলিম তরুণীদের জন্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম যা উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে ও তা ভাগাভাগি করবে এবং যাতে ক্ষমতায়ন বিষয়বস্তু থাকবে।’

সম্প্রতি জানা যায়, পত্রিকাটিতে ব্রিটিশ সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতির আওতায় ‘একসঙ্গে শক্তিশালী ব্রিটেন গড়ি’বা বিএসবিটি নীতির আওতায় এটি পরিচালিত হতো।

ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সিকিউরিটি দপ্তরের নেওয়া বিতর্কিত ‘প্রিভেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এতে অর্থায়ন নিশ্চিত করা হতো। সংস্থার এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে সন্ত্রাসবাদে যোগ দেওয়া বা সমর্থন দেওয়া বন্ধ করা। ‘প্রিভেন্ট’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মুসলিমদের ওপর গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি স্বাধীন পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নের খবর ফাঁস হওয়ার পর পত্রিকাটি থেকে দুজন মুসলিম কর্মী পদত্যাগ করেন। পাঠকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন,এর মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
পত্রিকাটির প্রাক্তন প্রদায়করা জানিয়েছেন, সুপারসিস্টার্সের পক্ষ থেকে ধারণা দেওয়া হতো, পত্রিকাটি মুসলিম নারীদের স্বাস্থ্য, রাজনীতি, সাহিত্য ও রাজনীতি নিয়ে লেখা-আলোচনার জন্যই। তবে এর সম্পাদকীয় পরিষদে কোনো মুসলিম নারীকে কখনো নিয়োগ দেওয়া হয় নি।

শেয়ার করুন