চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবার মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে তুরস্ক!

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্রয়ের পর যে সংকট তৈরি হয়েছে, মার্কিন নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক দিয়ে তিনি তা উতরে যেতে পারবেন বলে মনে করেন।

গত জুলাইয়ে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কেনার পর তুরস্কের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তুরস্কের কাছে রেইথিওন কো’স প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিক্রির সময় শেষ।
কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি প্যাট্রিয়ট কেনার কথা আলাপ করেছেন। আসছে সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যখন তাদের বৈঠক হবে, তখন এ নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এস-৪০০ এর মতো যেকোনো প্যাকেজই আমরা পাই না কেন, সেটি কোনো ব্যাপার নয়। আমরা আপনাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক প্যাট্রিয়ট কিনতে পারি।

‘কিন্তু আমি বলেছি, এখানে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, সেটি এস-৪০০ ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খেতে হবে।’ সে ক্ষেত্রে যৌথ উৎপাদন ও অনুকূল ঋণ শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন তুরস্কের এ নেতা। তিনি বলেন, ট্রাম্প বলেছেন- আপনি কি আন্তরিক? আমি বলেছি- হ্যাঁ, অবশ্যই। কাজেই সাক্ষাতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন এরদোগান। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে তুরস্কের প্রধান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হ্যালকব্যাংককে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বড় অঙ্কের জরিমানা থেকে ট্রাম্পের কাছে সুরক্ষা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে এরদোগান বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এ রকম ভুল এড়িয়ে যেতে পারব। দুই নেতার মধ্যে ভিন্ন ধরনের আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মত হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশ তার মিত্র তুরস্ককে আর আঘাত করতে চাইবে না।

কারণ এটি কোনো যৌক্তিক আচরণ হতে পারে না। ইস্তানবুলের বসফরাসে উসমানীয় দোলমাবাচ প্রসাদে এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান এসব কথা বলেন। ফোরাত নদীর তীর থেকে ইরাক সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত সাড়ে চারশ কিলোমিটারের সিরীয় সীমান্তে একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করতে ট্রাম্প ও এরদোগানের মধ্যে আলোচনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন