চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৩:০২ অপরাহ্ণ

আসামের বিতর্কিত নাগরিক তালিকা ও পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করতে বিজেপি সরকারের হুমকির প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশটির কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, আমি বেঁচে থাকতে এ রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করতে দেব না। ক্ষমতা থাকলে রাজ্যের এক জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।

এনআরসি’র বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিঁথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

নাগরিকপঞ্জি করে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দুই কোটি মানুষকে দেশছাড়া করার যে হুমকি বিজেপি নেতারা দিচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে মমতা বলেন, পারলে দুটো লোকের গায়ে হাত দিয়ে দেখো, এক জনের গায়ে হাত দিয়ে  দেখো। এজেন্সি কোথায় থাকে আর মানুষ কোথায় থাকে দেখে নিও ভালো করে।

দেশটির আসামে নাগরিকপঞ্জিতে ১৯ লাখ লোকের নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামে লাখ লাখ পুলিশ দিয়ে মুখ বন্ধ করতে পারলেও এখানে আমাদের মুখ বন্ধ করা অত সহজ হবে না। তুমি দম দম করে পুলিশ আনলে আমরাও পাল্টা দম দম দেব। 

তিনি আরও বলেন, আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক। ক’বার আমাকে পরাধীন হতে হবে? এখন কেন প্রমাণ দিতে হবে আমি এ দেশের নাগরিক কি না?

এনআরসি’র মাধ্যমে আরও একবার বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মমতা বলেন, বাংলার কোনো ধর্ম-বর্ণ-মতের মানুষকেই এ রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না। যারা বাংলায় বাস করেন, তারাই বাংলার নাগরিক। যে যে ভাষায় কথা বলেন, সেটাই তার বৈশিষ্ট্য।

এদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, দুই কোটি বাংলাদেশি এখানে ঢুকেছে। পশ্চিমবঙ্গকে করিডর করে গোটা দেশে বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে পড়ছে। এদের তাড়িয়েই ছাড়ব। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জি হবেই।

এর জবাবে মমতা বলেন, দেখি না, কতজনকে জেলে ঢোকাতে পার। দেখি না কত বড় জেল তৈরি করতে পার। আমি বেঁচে থাকতে তো এনআরসি হতে দেব না। আর আমার মৃত্যুর পরেও চার প্রজন্ম তৈরি আছে। তারাও কোনোভাবেই তোমাদের এনআরসি করতে দেবে না।

এনআরসি রোখার আন্দোলনে সবাইকে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার ডাক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির টাকা আর এজেন্সির বিরুদ্ধে লড়তে পারে একমাত্র তৃণমূল। এখানে সিপিএম, কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। কে কোনো দল করেন, ভুলে যান। আমি চাই, এ লড়াইয়ে ছাত্র-যুবারা এগিয়ে আসুক।

পূর্বকোণ/পলাশ 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট