চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বহিষ্কারের মুখে তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

তুরস্কের পরমাণু অস্ত্র নেই ‘মানতে পারেন না’ এরদোগান

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : বিশ্বে যে দেশগুলোরই পরমাণু অস্ত্র আছে, তারা বিশ্বরাজনীতিতে নীতি-নির্ধারকের ভূমিকায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে এ ধরনের অস্ত্র।
পরমাণু অস্ত্রের এই ‘প্রভাব’ বিবেচনায় নিয়ে যেন উচ্চাকাক্সক্ষী হয়ে উঠলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, তার দেশের পরমাণু অস্ত্র না থাকাটা তিনি মানতে পারেন না। যদিও এই অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে আঙ্কারার কোনো চিন্তা আছে কি-না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

বুধবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিভাসে ক্ষমতাসীন একেপির একটি সমাবেশে বক্তৃতাকালে এরদোগানের এই উচ্চাকাক্সক্ষা প্রকাশ পায়। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এরদোগান বলেন, ‘বেশ কিছু দেশের পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইল রয়েছে, তাও কেবল এক-দু’টো নয়। কিন্তু (আমাদের বলা হয়) আমাদের এ ধরনের অস্ত্র থাকতে পারবে না। এটা আমি মানতে পারি না। এমন কোনো উন্নত দেশ নেই যাদের কাছে তা (পরমাণু অস্ত্র) নেই।’

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশ তুরস্ক বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে অন্যতম নীতি-নির্ধারকের ভূমিকায় রয়েছে। অস্ত্র কেনার দিক থেকে তারা সামনে থাকলেও এশিয়া-ইউরোপের সংযোগ স্থলের এ দেশটি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত দু’টি প্রধান চুক্তিতেই স্বাক্ষরকারী।
ইসরায়েলের মতোই তুরস্কের জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চান ইঙ্গিত দিয়ে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের পাশেই, প্রায় প্রতিবেশী ইসরায়েল রয়েছে। এই অস্ত্র (পরমাণু) বানিয়ে তারা অন্যদের (অন্য দেশ) ভয় পাইয়ে দিয়েছে। ফলে কেউ তাদের স্পর্শ করতেও পারবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের হাতে বড় আকারের পরমাণু অস্ত্রের বহর থাকলেও এ বিষয়ে তারা সবসময়ই লুকোছাপা করেছে।

এদিকে তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলুকে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে কবে নাগাদ তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে এখনও তা নিশ্চিত নয়।
তুরুস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দলের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনবেন বলে যে গুঞ্জন রয়েছে তার মধ্যই এই খবর পাওয়া গেল।

শেয়ার করুন