চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে ভারতের প্রবৃদ্ধি

অনলাইন ডেস্ক

৩১ আগস্ট, ২০১৯ | ৭:৫১ অপরাহ্ণ

বিশ্বে মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কার মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশে; যা গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। নতুন লগ্নি নেই, কৃষিতে অবস্থা ভালো না, বাজারেও পড়তি- সব মিলিয়ে অর্থনীতির এই ঝিমিয়ে পড়া নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে স্পষ্টতই চাপে ফেলেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিস্থিতি প্রবৃদ্ধি কমার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। আর অর্থনীতিকে এ থেকে টেনে তোলার পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের অর্থ বছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চে বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এই পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ নিচে রয়েছে।

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চের পর থেকে প্রবৃদ্ধির হার এত নিচে কখনও নামেনি। তখন বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশে নামায় মনমোহন সিংয়ের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপির মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নামায় একে ‘অর্থনীতির জরুরি অবস্থা’ বলে শোর তুলেছে কংগ্রেস।

বিজেপি নেতারা একে অর্থনীতির ওঠানামা বলে বোঝাতে চাইলেও ইন্ডিয়া রেটিংসের প্রধান অর্থনীতিবিদ দেবেন্দ্র পন্থের মতে, শুধু ওঠানামা নয়, এর পিছনে কাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, “গৃহস্থের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে কাঠামোগত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।।”
অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রামনিয়ন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে। “তবে অর্থনীতি চাঙা করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই সে গতি ফিরবে।”

এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন সুব্রামনিয়ন। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যাংক ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের লক্ষ্যে ২৭টি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে একীভূত করে ১২টিতে নামিয়ে আনার ঘোষণা শুক্রবারই দেন। আবাসনের মতো ক্ষেত্রকে চাঙা করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সুব্রামনিয়ন বলছেন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার ৭৬ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। লগ্নি আবার উঠতে শুরু করেছে। তবে অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, ঝিমুনি কাটিয়ে ভারতের অর্থনীতি চাঙা হতে যথেষ্ট সময় লাগবে।- বিডি নিউজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট