চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চলতি বছর ইউরোপে ঢুকেছে ৪৫ হাজার অভিবাসী: জাতিসংঘ

২৬ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অকূলপাথার সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দিকে ঝুঁকছেই অভিবাসী ও শরণার্থীরা। তাতে অগণিত মানুষ সাগরে ডুবে মরছে। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না ইউরোপগমন।
২০১৯ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ গত সাড়ে ৭ মাসে ৪৫ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে সাগরে ডুবে মারা গেছেন ৮৫৯ জন।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্থানীয় সময় গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, গেল বছরের চেয়ে এবার বছরের প্রথম সাড়ে ৭ মাসে অভিবাসীদের ইউরোপ পাড়ি দেয়ার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গেল বছর একই সময়ে প্রায় ৬৪ হাজার ৮৩৬ জন শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছিল। যাদের মধ্যে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গিয়েছিল ৫৫৮ জন।
ইউরোপে পাড়ি জমানো মোট অভিবাসী ও শরণার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি আশ্রয় নিয়েছে গ্রিসে। মোট ৪৫ হাজারের মধ্যে এ বছর ২৩ হাজার ১৯৩ জন অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থী গ্রিসে এসেছেন। আইওএম-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ বছর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় পথে ৫৭ জন ও পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের পথে ২০৮ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮ সালে এ পথে মারা গিয়েছিলেন ৩২৪ জন।

২০১৯ সালে প্রথম সাড়ে ৭ মাসে প্রায় ৪ হাজার ৬৬৪ জন অভিবাসী ইতালি প্রবেশ করেছে। গেল বছর একই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার ৪৯২ জন অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করেছিল। তুলনামূলকভাবে মোট অভিবাসীদের ৮৩ শতাংশই প্রবেশ করছে গ্রিস ও স্পেনে। গ্রিসে ২৩ হাজার ১৯৩ জনের পাশাপাশি এ বছর স্পেনে ১৪ হাজার ৬৮০ জন অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থী প্রবেশ করেছে।

তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০১৯ সালে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে অভিবাসী মৃত্যুর হার কমেছে। গেল বছর একই সময়ে ওই পথে ১ হাজার ১২৮ জন অভিবাসী মারা যান। যেখানে চলতি বছর মারা গেছেন ৫৯৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর প্রাণহানি হয়েছে। গেল জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছিল আইওএম।

শেয়ার করুন