চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আর নেই

২৫ আগস্ট, ২০১৯ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

শনিবার বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার জীবনাবসান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম।

নরেন্দ্র মোদীর বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
পাঁচ বছর অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পর অসুস্থতার কারণে নিজেই মোদির এবারের সরকারে না থাকার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। একই কারণে নির্বাচনও করেননি। অসুস্থতার কারণে মোদীর বিগত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এবারের সরকারে থাকেননি। সম্প্রতি তারও মৃত্যু ঘটে। প্রচ- শ্বাসকষ্ট হওয়ায় গত ৯ অগাস্ট নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এআইআইএমএস) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অরুণ জেটলিকে।
এআইআইএমএস শনিবার এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কথা জানায়। ভর্তির পর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।-বিডিনিউজ

গত বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় অরুণ জেটলির কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি অসুস্থতার মধ্য দিয়েই চলছিলেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন অটল বিহারি বাজপাইর সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি।
মোদির সরকারে মন্ত্রিত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জোটের রাজনীতিতে ভূমিকার জন্য অরুণ জেটলি ছিলেন আলোচিত।

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

অরুণ জেটলির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে। তার বাবা মহারাজ কিষাণ জেটলিও ছিলেন একজন আইনজীবী।
হিসাব বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন অরুণ জেটলি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি; দিল্লি ইউনিভার্সির ছাত্র সংসদের সভাপতিও ছিলেন।
ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত শতকের ৮০ দশকে বিজেপিতে সক্রিয় হন অরুণ জেটলি। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলেন।

১৯৯৯ সালে বাজপাইর সরকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান অরুণ জেটলি; পরে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার উপর চেপেছিল।

কংগ্রেস আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অরুণ জেটলি বিয়ে করেন কাশ্মীরের সাবেক অর্থমন্ত্রী গিরিধারী লাল ডোগরার মেয়ে সঙ্গীতাকে। তাদের দুই ছেলে-মেয়েও আইনজীবী।

শেয়ার করুন