সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাঙ্গা পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও যে কোনো সময়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন ট্রাম্প, বিশ্ব জুড়ে এমন আলোচনার মধ্যে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ছবিগুলো সত্য নয়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজিন্সের সাহায্যে এসব ছবিগুলো নিখুঁতভাবে করা হয়েছে।
ভুল তথ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ছবিগুলো একটি নতুন বাস্তবতার আশ্রয়দাতা। ভুয়া ফটো ও ভিডিও অনেক বড় কোনো ঘটনার নেতিবাচক দিক দাঁড় করাতে পারে। এগুলো যে কোনো সময় পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দিতে পারে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেভিন ওয়েস্ট বলেন, এসব ছবি সংকটের মধ্যে আরও গোলমাল যোগ করতে পারে। এটি নিন্দাবাদের মাত্রাও বাড়াবে। এসব কাজ থেকে সবাইকে সতর্ক করা উচিত।
নিজের গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই গ্রেপ্তার ঠেকাতে তিনি তার সমর্থকদের ব্যাপক বিক্ষোভ শুরুর আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, কারাগারের ধূসর আলোয় কংক্রিটের সেলের আড়ালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শুক্রবার ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি)। কিন্তু রাশিয়া এ পরোয়ানাকে মূল্যহীন হিসেবে অভিহিত করে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আইসিসি জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পুতিন যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছেন। ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়েছেন।
মূলত, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি চাপা দিতে অর্থ প্রদান করেন তিনি। ওই অভিযোগে জড়িত একটি মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।