চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুলিবিদ্ধ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসের মৃত্যু, গ্রেপ্তার হামলাকারী পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

পুলিশের করা গুলিবিদ্ধ ওড়িষার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসের মৃত্যু হল হাসপাতালে।  রবিবার ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের কছে দুপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজরাজনগরের গান্ধীচকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এদিন ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরে তার ওপরে হামলা চালায় পুলিশের এক সাবইনস্পেক্টর। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে মৃত্যু হল ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসের। এদিন দুপুরের দিকে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরের কাছে গান্ধী চকে রাজ্য পুলিশের এক সাবইনস্পেক্টর তাঁকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোঁড়ে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এয়ারলিফট করে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আক্রমণকারী পুলিশ কর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বুকে। কিন্তু পরে জানা যায় এই গুলি চালিয়েছে খোদ পুলিশই। গুলি লাগার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নব দাস। চটজলদি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি তিনি। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ওড়িশার সুরক্ষা ব্যবস্থা। কী কারণে ওই পুলিশ আধিকারিক হামলা চালাল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। তদন্তে নেমে এসডিপিও গুপ্তেশ্বর ভোই জানিয়েছেন, মন্ত্রীকে লক্ষ্যে করে গুলি চালিয়েছেন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর গোপাল রায়। মন্রী নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এক-আধটা নয়, চার-পাঁচটা গুলি চালানো হয়। মন্ত্রীর বুকে লেগেছে ওই চার-পাঁচটি গুলি।

 

ওড়িশায় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পডেছে। এই ঘটনার পর গান্ধী চকে ধর্নায় বসেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ এই গোটা ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত। পুলিশ পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনাযক এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত এএসআইকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তিনি এমন ঘটনা ঘটালেন, যাতে পুলিশ-প্রশাসন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় অন্য কেউ লিপ্ত রয়েছেন কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট