কানাডায় সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে ইসলামভীতি বা ইসলামবিদ্বেষের (ইসলামোফোবিয়া) বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলঘাওয়াবিকে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতির বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামভীতি প্রতিরোধবিষয়ক উপদেষ্টা পদে সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলঘাওয়াবিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইসলামভীতি, পদ্ধতিগত বর্ণবাদ, বর্ণবৈষম্য এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফেডারেল সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও শক্তিশালী করার জন্য একজন চ্যাম্পিয়ন, উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার একাধিক টুইট বার্তায় এলঘাওয়াবি সাম্প্রতিক হামলায় নিহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘আমাদের কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়’।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ইসলামোফোবিয়া এবং সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বৈচিত্রতা সত্যিই কানাডার অন্যতম বড় শক্তি, কিন্তু অনেক মুসলমান ইসলামফোবিয়ার শিকার।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার কর্মী এলঘাওয়াবি কানাডার রেস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান এবং টরন্টো স্টার পত্রিকার একজন কলামিস্ট। এর আগে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে কানাডার মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। ২০২১ সালের জুনে অন্টারিওতে একটি মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেন এক ব্যক্তি। এরও চারবছর আগে, কুইবেক সিটির একটি মসজিদে চালানো হামলায় ছয়জন মুসল্লি নিহত এবং পাঁচজন আহত হন। ২০২১ সালের জুনে ফেডারেল সরকার আয়োজিত ইসলামবিদ্বেষ বিষয়ক জাতীয় শীর্ষ সম্মেলনে এসব হামলা বন্ধে প্রতিনিধি নিয়োগের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

পূর্বকোণ/এএস