চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৬ বছর পর স্বামীর মতোই নিহত হলেন অঞ্জু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১:৩৪ অপরাহ্ণ

নেপালে পোখারায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর ঘটেছে কাকতালীয় এক ঘটনা। ১৬ বছর আগে দীপক পোখারেল নামে এক কো-পাইলট প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। নেপালের দুর্ঘটনায় একই কায়দায় নিহত হয়েছেন তার স্ত্রী অঞ্জু খাতিওয়াদা। দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট ছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার স্বামীও জীবিত অবস্থায় ওই এয়ারলাইন্সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

রবিবারের দুর্ঘটনায় ৭২ যাত্রীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, ওই ফ্লাইটের কারও জীবিত ফেরার সম্ভাবনা নেই। নিহতদের মধ্যে উদ্ধার করা হয় ক্যাপ্টেন কামাল কেসি ও কো-পাইলট অঞ্জুর লাশ।

 

স্বপ্নপূরণের মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগেই থেমে যায় অঞ্জুর যাত্রা। কারণ এই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলেই কো-পাইলট থেকে ক্যাপটেনে উন্নীত হতেন অঞ্জু। যা ছিল তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। কিন্তু কে জানতে এই যাত্রাই তার শেষ যাত্রা। স্বামী দীপকের মতোই একইভাবে প্রাণ হারাতে হবে তাকেও।

২০০৬ সালের ১২ জুন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু। কো পাইলট দীপকসহ পোখারেল জুমলা বিমানবন্দরে আরও ৯ জন নিহত হন। তখনই অঞ্জু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পাইলট হয়ে তার স্বীমার স্বপ্নটা পূরণ করবেন। স্বামীকে হারানোর চার বছর পর পাইলটের ওপর প্রশিক্ষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে আসেন তিনি। নিহত অঞ্জু এবং দিপক রেখে গেছেন ২২ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানকে।

 

উল্লেখ্য, কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারার উদ্দেশে উড়াল দেয় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ‘৯ এন-এএনসি এটিআর–৭২’ মডেলের উড়োজাহাজ। এতে ছিলেন নেপালের আরোহী ৫৩। এছাড়া পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রাশিয়ান এবং দুই জন কোরিয়ান। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/এএস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট