ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার একমাত্র সংযোগ স্থাপনকারী সেই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে সোমবার নিজে গাড়ি চালিয়ে পার হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ৮ অক্টোবর সেতুটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ব্রিজটি আংশিকভাবে ধসে পড়ে। নিহত হয় অন্তত তিন জন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনাকে মস্কোর জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এটি পরিদর্শনে যান পুতিন। পুতিন নিজেই একটি মার্সিডিস চালিয়ে নিজেই এ সেতু পার হন। খবর রয়টার্সের।
পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সেতুটির মেরামতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেন পুতিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সেতুটির মেরামতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেন পুতিন।
আনুষ্ঠানিক নাম কের্চ ব্রিজ হলেও ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপন করায় এটি ক্রিমিয়া সেতু নামেও পরিচিত। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমেও পুতিনের ব্রিজটি পরিদর্শনের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের প্রকাশিত ছবিতে পুতিনকে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। একটি ভিডিওতে পুতিনকে সেতুতে হাঁটতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর রশদ সরবরাহের প্রধান পথ হিসেবে কের্চ প্রণালীর ওপর দিয়ে এই সেতুটি ব্যবহার করে আসছিল মস্কো। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজটিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি বড় টার্গেট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের চার বছর পর ২০১৮ সালে সেতুটির উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর চার বছরের মাথায় ২০২২ সালে সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি যাওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সবকিছু থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’
পূর্বকোণ/পিআর