চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ঝুঁকিতে মার্কিন গণতন্ত্র : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৮ নভেম্বর, ২০২২ | ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর)। মনে করা হচ্ছে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনটি হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের ভাগ্য নির্ধারণের ওপর এক বিরাট প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

আর তাই ভোটের ঠিক আগে ভোটারদের সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি মার্কিন গণতন্ত্র ঝুঁকিতে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তৃতায় নানা যুক্তি তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবারের এই বক্তৃতায় তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করতে পারে এবং তার অধীনে হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অর্জনকে উল্টে আড়ের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটনের বাইরে ঐতিহাসিক বোভি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আজ আমরা একটি পরিবর্তন বিন্দুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। আমরা বেশ ভালোভাবেই জানি, আমাদের গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং আমরা এটাও জানি, এটিকে রক্ষা করার সময় এখন আপনাদের।’

রয়টার্স বলছে, বাইডেনের এই মন্তব্য ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর রাজনৈতিক বিভাজনকেই প্রতিফলিত করছে। মঙ্গলবারের এই নির্বাচনে বিরোধী রিপাবলিকান শিবির কংগ্রেসের একটি বা উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ জিততে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাচন নিয়ে নির্দলীয় পূর্বাভাসদাতারা সোমবার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে প্রায় ২৫টি আসন পেতে পারে রিপাবলিকানরা। যা প্রতিনিধি পরিষদে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট।

এছাড়া বিশ্লেষকরা এটাও বলেছেন, রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ জিততে তাদের প্রয়োজনীয় একটি আসনেও জয় পেতে পারে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং অপরাধের জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করে আসছে রিপাবলিকানরা। আর এই দু’টি ইস্যুই ভোটারদের উদ্বেগের শীর্ষে রয়েছে।

অবশ্য মঙ্গলবারের এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর কোনও ব্যালট হচ্ছে না। তবে প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ের এই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আইনসভা এবং গভর্নরের অফিস কারা নিয়ন্ত্রণ করবে।

এছাড়া মধ্যবর্তী এই নির্বাচন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড এবং দেশের বর্তমান হালচাল সম্পর্কে পরোক্ষভাবে ভোটারদের মতামত প্রকাশের সুযোগ এনে দেয়। মার্কিন অর্থনীতির বর্তমান সমস্যা এবং অপরাধ ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ে ভোটাররা যখন উদ্বিগ্ন, তার মধ্যে নির্বাচনের এই রায় বর্তমান প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ কঠোর হতে পারে। এছাড়া মধ্যবর্তী এই নির্বাচনের ফলাফল ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারণার ক্ষেত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করবে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন