চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে চীনা প্রেসিডেন্টের আহবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৫ নভেম্বর, ২০২২ | ৯:০৬ অপরাহ্ণ

রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং হুমকি-ধমকি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এই যুদ্ধ পরমাণু সংঘাতে রূপ নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের আহবান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেইজিংয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ আহবান জানান।

জিন পিং বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বা হুমকির বিরোধিতা, ইউরেশিয়ায় পারমাণবিক সংকট রোধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার এবং পারমাণবিক যুদ্ধ করা উচিত নয় বলে অবস্থান নেওয়া উচিত।

 

এর আগে অক্টোবরে কৌশগলগত পারমাণবিক বি-৬১ পারমাণবিক বোমা ফেলার আদলে উরোপে পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। পশ্চিমা জোটের এই মহড়া প্রায় রাশিয়ার সামরিক মহড়ার মতো একই ধাঁচে চালানো হয়েছে। উভয়পক্ষই এই মহড়া নিয়মিত বলে অভিহিত করেছে।

ইউক্রেনীয় সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে ‘ডার্টি বোমা’ বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে বলে গত মাসে রাশিয়া অভিযোগ করে। ডার্টি বোমা মূলত এক ধরনের প্রচলিত বিস্ফোরক যন্ত্র; যা তেজস্ক্রিয় পদার্থে পূর্ণ থাকে।

তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, রাশিয়ার অভিযোগের পর কিয়েভের অনুরোধে ইউক্রেনে পরিদর্শন করা তিনটি স্থানে ‘অঘোষিত পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের’ কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে বিশ্ব মানবসভ্যতা-বিধ্বংসী পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির (আরমাগেডনের) মুখোমুখি হতে পারে।’

গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে মস্কোর কোনও ইচ্ছা নেই। আমরা এর কোন প্রয়োজনও দেখছি না। এই অস্ত্র ব্যবহারের রাজনৈতিক অথবা সামরিক কোন মানে নেই।’

 

পূর্বকোণ/এএস/পারভেজ

শেয়ার করুন