চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৩ বছরে মৃত্যুহার কমেছে ৯৯ ভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

২০০৯ সালের পূর্বে দেশে গড়ে বছরে জলাতঙ্ক রোগে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যেত। ১৩ বছর পর এ সংখ্যা নেমেছে ২৬ জনে। অর্থাৎ মৃত্যুহার কমেছে ৯৮.৭%। জলাতঙ্কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- জলাতঙ্ক: ‘মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।

২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে জলাতঙ্ক শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব। তবে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

বর্তমান সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা সরবরাহ করে যাচ্ছে। চসিক এলাকায় এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ২৫০ জনকে এন্টি র‌্যাবিস ভ্যাক্সিন প্রদান করেছে চসিক জেনারেল হাসপাতাল। এছাড়া, প্রতি মাসে ৬ম থেকে ৭শ জনকে এন্টি র‌্যাবিস ভ্যাক্সিন প্রদান করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে কুকুর নিধন প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। জলাতঙ্ক রোগ যাতে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য ঢাকা থেকে একটি টিম এসে বেওয়ারিস কুকুরকে ভ্যাক্সিন প্রদান করে।

তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনাবশত কুকুরের কামড় খাওয়া লোকদের মাঝে যাতে জলাতঙ্ক রোগ ছড়িয়ে না পড়ে তাদের আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এন্টিরেবিস ভ্যাকসিন দিই। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।

জানা যায়, ব্যাপক হারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্তদের চিকিৎসা ও টিকা প্রদানের পাশাপাশি কুকুরের টিকাদান এবং সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট