চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১:৩৮ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ইরানের সাম্প্রতিক অস্থিরতাকে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অভিযোগ করা হয়েছে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে । মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘ওয়াশিংটন সব সময়ই ইরানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, যদিও তা ব্যর্থ হয়েছে।’

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে নাসের কানানি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশের নেতারা একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে ‘দাঙ্গাকারীদের’ সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ সরকারের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসলেও পশ্চিমারা সেটি উপেক্ষা করছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা আমিনি (২২) ইরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে দেশটির কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে কঠোর পোশাকবিধি বাতিল এবং নারীদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমন করতে সহিংসতার আশ্রয় নেওয়ায় তেহরানের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয় পশ্চিমা দেশগুলো।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার বলেছেন, ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ইউনিট এবং এর নেতৃত্বসহ মাহশা আমিনির মৃত্যুর জন্য দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কানাডা। অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানকে বারবার মানবাধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে দেখেছি। এখন আমরা মাহসা আমিনির মৃত্যু এবং বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন প্রত্যক্ষ করছি।’

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ইরানে সহিংসতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা বিনা উত্তরে পার পেয়ে যেতে পারে না। এ ঘটনায় দায়ীদের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া উচিত। নারীর অধিকারকে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, একটি দেশে নারীরা নিরাপদ না থাকলে কেউ নিরাপদ নয়।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট