টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুঞ্জন উঠেছে দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে দুই বাংলার অভিনেতা পরমব্রতর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। এমনকী শোনা গেছে অনুপম-পিয়ার বিয়ে ভাঙার নেপথ্যের কারণটিও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সত্যি কি তাই? পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় কি মন দিয়েছেন প্রিয়াকে?

জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরমব্রত স্পষ্ট জানান, ‘আমি সিঙ্গল’। পিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন নায়ক। আরো জানান, ‘দুটো মানুষ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে, সেখানে হামলে পড়ে একটা তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে সেনসেশন তৈরি করাটা কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রথমে শুনে খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। খুব খারাপ লেগেছিল।’ সবটাই ঘটেছে অনলাইন নিউজ পোর্টালের সুবাদে, এভাবেই দায় ঝেড়ে ফেলবার চেষ্টা করতে দেখা যায় পরমব্রতকে।

সঞ্চালক গৌতম ভট্টাচার্য পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তোমার বন্ধুরাও তো এই নিয়ে কথা বলেছে?’ সামলে নিয়ে পরমব্রত জবাব দেন, ‘বন্ধুরা আমার সামনে তো কিছু বলেনি, বললে আমি তাদের থামিয়ে দিতাম’। এরপর পরমব্রত মেনে নেন, পিয়ার সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে তবে- ‘দুটো মানুষ একটা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং তার মধ্যে সেটার (পরম-পিয়ার বন্ধুত্ব) রেশ টেনে আনাটা অপ্রয়োজনীয় এবং আন-ওয়ারেন্টেড’।

পরমব্রত-পিয়ার বন্ধুত্ব জমে উঠেছিল ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে। সেই সত্যিটাও মেনে নেন পরমব্রত। আর সেই বন্ধুত্ব লুকিয়েও রাখতে চান না পরম। সাফ বলেন, ‘আমরা তো ছবিও দিয়েছি…. আমি (ডিভোর্সের) কারণ হওয়া এটা সরলরেখায় বানানো সমীকরণ নয়’।

এই বন্ধুত্বটা কি কোনও স্থায়ী সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে? পরমব্রতর স্পষ্ট জবাব, ‘এটা বন্ধুত্ব। আমি সত্যি জানি না আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা, দীর্ঘস্থায়ী কোনও সম্পর্কের জন্য আমি নিজে তৈরি কিনা আমি সেটাও এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমি বলব ইন্ডাস্ট্রিতে হয়ত সেরকম খবর নয়, যে তথাগতর স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে আমি তিনটি (অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক) ভূমিকা পালনে এতই ব্যস্ত যে গলিতে দাঁড়ানোর সময় হচ্ছে না।’

পিয়ার সঙ্গে গাঢ় বন্ধুত্বকে অন্য কোনও নাম দিতে এখনই প্রস্তুত নন পরমব্রত। অভিনেতার প্রেমের ট্র্যাক রেকর্ড বলছে, খুব বেশিদিন একটা সম্পর্কে মন টেকে না তার। বাকিটা তো সময়ই বলবে!

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

পূর্বকোণ/আর