চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ন্যাম হত্যাকা-

ছাড়া পেলেন ভিয়েতনামি নারী হুংও

৪ মে, ২০১৯ | ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যামকে হত্যার অভিযোগে আটক ভিয়েতনামী নারী ডন থী হুংকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশীয় কৌঁসুলিদের সঙ্গে সমঝোতার পর ন্যামকে ‘আঘাত করার’ একটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন হুং। তুলনামূলক হালকা ওই অভিযোগে সাজা মিললেও, গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে থাকায় ৩০ বছর বয়সী এ নারীর দ-ের মেয়াদ কমে আসে।
শুক্রবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তার
আইনজীবীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
ন্যাম হত্যার অভিযোগে হুংয়ের সঙ্গে ২৬ বছর বয়সী ইন্দোনেশীয় নারী সিতি আইশাও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে এ দুই নারী ন্যামের মুখে বিষাক্ত তরল ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট মেখে দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ন্যামের মৃত্যু হয়।
হুং ও আইশা শুরু থেকেই উত্তর কোরীয় নেতার সৎ ভাইকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তাদেরকে কৌশলে এ হত্যাকা-ের অংশীদার করা হয়েছে এবং টেলিভিশনে কৌতুক অনুষ্ঠানের দৃশ্যায়ন মনে করে ওই কাজ করেছিলেন বলেও দাবি তাদের।
মার্চে আইশাকে ছেড়ে দেওয়ার পর হুংয়ের বিচার অব্যাহত থাকবে বলে মালয়েশিয়ার কৌঁসুলিরা জানালেও ভিয়েতনাম তাদের নাগরিককে ছাড়িয়ে নিতে কূটনীতিক চাপ বাড়াতে থাকে।
মুক্তি পাওয়ার দিনই আইশা মালয়েশিয়া থেকে জাকার্তায় ফিরে যান।
উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত সাবেক নেতা কিম জং ইলের বড় ছেলে কিম জং ন্যাম চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন ম্যাকাউয়ে থাকতেন। সিঙ্গাপুর ও চীনেও তার যাতায়াত ছিল। ‘পরিবারতন্ত্রের উত্তরাধিকার’ নিয়ে প্রকাশ্যেই সমালোচনামুখর ছিলেন তিনি।
ন্যামের সৎভাই কিম জং উন ২০১১ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করে আসছেন।
উত্তর কোরিয়ার পাঠানো এজেন্টরাই ন্যামকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের। অবশ্য মালয়েশিয়ার তদন্তকারীরা এ অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাননি।
১৯৯৭ সালে ন্যামের এক চাচাত ভাইকেও দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতরে হত্যা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার দুই এজেন্ট তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে ধারণা করা হলেও সেই হত্যাকারীদের কখনো ধরা যায়নি।

শেয়ার করুন