ক্রেতার অভাবে রাশিয়ার ৬ কোটি ২০ লাখ ব্যারেলবাহী বেশকিছু জাহাজ গন্তব্যহীন অবস্থায় সমুদ্রে ভাসছে। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোন দেশ।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার উরাল ক্রুড অয়েল নিয়ে গন্তব্যহীন অবস্থায় সমুদ্রে ভাসছে বেশ কিছু জাহাজ। আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনেরও রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা রয়েছে।
অ্যানার্জি অ্যানালিটিক্স ফার্ম ভোরটেক্সা জানায়, মুদ্রে বর্তমানে যে পরিমাণ উরাল ক্রুড অয়েল ভাসছে, তা যুদ্ধের আগের অবস্থার গড় পরিমাণের চেয়ে তিনগুণ বেশি। মে মাসে এ পর্যন্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রপথে রাশিয়ার দৈনিক তেল রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ব্যারেল। ফেব্রুয়ারিতে যেখানে দিনে ৭৯ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হতো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সংখ্যা দেখা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে রাশিয়ার রপ্তানি এখনও শক্ত অবস্থানে আছে। সমুদ্রে রাশিয়ার তেলের পরিমাণ বাড়তেই আছে। অবশ্য বর্তমানে যে পরিমাণ উরাল কার্গো সমুদ্রে রয়েছে এর ১৫ শতাংশের কোনো গন্তব্য নেই; এটা রেকর্ড পরিমাণ। এরমধ্যে কিছু হয়তো আছে যেগুলোর ক্রেতার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না, আর বাকিগুলো অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ক্রুড তেলের ব্যারেলের বেশিরভাগের গন্তব্য হয়েছে এশিয়া, মূলত চীন ও ভারতে। ইউরোপেও গেছে প্রচুর তেল।
পূর্বকোণ/এস