চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৌদি আরবে বাতিল হচ্ছে পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন

অনলাইন ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০১৯ | ৯:৩১ অপরাহ্ণ

সৌদি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, শিগগিরই দেশটির ‘পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন’ বাতিল করা হচ্ছে। ফলে দেশটির নারীরা এরপর থেকে চাইলেই কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারবে। এছাড়া বাইরে চলাচল ও চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রেও আর পুরুষের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। নিকি মিনাজ যেদিন নারী অধিকারের সমর্থনে সৌদি আরবের কনসার্ট বাতিল করলেন ওইদিনই সৌদি কর্মকর্তাদের এমন পরিকল্পনার কথা প্রকাশিত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের মধ্যেই এই আইন বাতিল করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশটির নারী ও পুরুষ চলাচল, দেশত্যাগ ও কর্মক্ষেত্রে সমান স্বাধীনতা পাবে। তবে এ স্বাধীনতা পেতে নারী-পুরুষ উভয়কেই ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী হতে হবে।

এমন একটি আইন দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উদারিকরণ প্রক্রিয়াও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তবে এটিও সত্যি যে, গত ৫ বছর আগে এই পরিবর্তনের কথা চিন্তাও করা যেত না, এমনটাই লিখেছে  দ্য ইকোনোমিস্ট ।

সৌদি আরবে নারীদের মুক্তি কঠিন ছিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন। এ আইনের ফলে সুযোগ থাকা সত্বেও নারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারত না।

সৌদি নারীদের ১৬ শতাংশ জানিয়েছে, কোনো না কোনো পুরুষ আত্মীয়ের বাধার কারণেই তারা গাড়ি চালাতে পারছে না।
নারীদের পুরুষের অধীনস্ততা থেকে মুক্তি দিলে এটি সৌদি আরবে আরো বড় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।

গত বছরের জুনে সৌদি আরব নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান ঘোষণা দেন, সৌদি নারীরা এখন থেকে পুরুষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারবেন। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে এই আইন বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত।

এখনো দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সফল হননি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটির বেকারত্বের হার এখন যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। এছাড়া, বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি কিছু সমাজ সংস্কারককে জেলও দিয়েছেন। আবার নিজেও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি সৌদি আরবে আমদানি করছেন। তিনি মনে করেন, সৌদি আরবে যদি আন্তর্জাতিক তারকারা কনসার্ট করতে আসেন তাহলে সৌদি জনগণ বিনোদনের জন্য বিদেশ যাবেন না। তাই অর্থনৈতিক দিককে সামনে রেখে তিনি সৌদিতে সিনেমা হল নির্মাণ করছেন, নিয়মিত বিদেশি তারকাদের এনে কনসার্ট আয়োজন করছেন ও একইসঙ্গে নারীদের অধিকতর স্বাধীনতা নিশ্চিতে সচেষ্ট হচ্ছেন।

 

পূর্বকোণ/তাসফিয়া

শেয়ার করুন