চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

একইদিনে ৭২ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি

অনলাইন ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৯ | ৩:৩২ অপরাহ্ণ

অনলাইনের এ যুগে হৃদয়ে আলোড়ন তোলার মতো নিখাদ প্রেমের সম্পর্ক এখন বিরল বিষয়। তবে এর মধ্যেও মাঝে-মধ্যে মেঘলা আকাশে উঁকি দেয়া এক ফালি রোদের মতো দু-একটি ঘটনা শিহরণ জাগায়, অনুপ্রেরণা দেয়। তেমনই একটি ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট শহর ওয়েন্সব্রো শহরের ডিলেইগলি দম্পতির।

হার্বাট ডিলেইগলি এক আমেরিকান ভদ্রলোক ৯৪ বছর বয়সে মারা যান গত শুক্রবার। দীর্ঘ ৭২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে এর মধ্য দিয়ে। তবে স্বামী হার্বাটকে ছেড়ে একা থাকতে পারেননি স্ত্রী মেরিলিন ফ্রান্সিস ডিলেইগলি। হার্বাট মারা যাওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টা পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৮৮ বছরের মেরিলিন।

চিকিৎসকরা বলছেন, মেরিলিন স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রিয়জনকে হারিয়ে এভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কোনো বিষয় নয়। হঠাৎ কোনো দুঃসংবাদ পেয়ে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।

এক সাক্ষাৎকারে হার্বাট জানিয়েছিলেন, মেরিলিন ফ্রান্সিস ৭০ বছর আগে ওয়েন্সব্রোর একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন। প্রথম দেখাতে চোখ আটকে যায় তার। এরপর মাঝে মধ্যেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকতেন ক্যাফেটির সামনে। দাঁড়িয়ে  দাঁড়িয়ে দেখতেন মেরিলিনের আসা-যাওয়া। এভাবে কিছুদিন কাটার পর হার্বাট একদিন সাহস করে বলে ফেললেন মনের কথা। কফি খাওয়ার সময় চাইলেন হার্বাট। মেরিলিনও সম্মতি দিলেন। প্রথম দেখায় দুইজনেই গেলেন সিনেমা দেখতে। এর এক বছর পর হার্বাট দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। সাত-পাঁচ না ভেবে রাজি হলেন মেরিলিনও।

২২ বছর সেনাবাহিনীর চাকরি জীবনে হার্বাটকে নানা সময়ে থাকতে হয়েছে দেশের বাইরে। তবে যুদ্ধ বা সেনাবাহিনীর নিয়মের বাড়াবাড়ি কোনো কিছুই আলাদা রাখতে পারেনি হার্বাট ও মেরিলিনকে। সব সময়ই হার্বাটের কাছাকাছি থেকেছেন মেরিলিন। এবার মৃত্যুও বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেনি তাদের। স্বামী মারা যাওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মেরিলিনও পাড়ি জমান পরপারে।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন