চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিমান মাস্কাট রুটে আকস্মিক বড় ফ্লাইট বন্ধ, সংকটে প্রবাসীরা

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

ছুটি নিয়ে বিমানের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ছুটি শেষ হয়ে যায়। বাড়ি আর ফেরা হয় না। ফ্লাইট সংকটে বহু মরদেহ পড়ে আছে হাসপাতালে। অসুস্থ রোগীও দেশে ফিরতে পারছে না। দুর্ভোগের শেষ নেই ওমান প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সোস্যাল ক্লাব ওমান এর সভাপতি মো. সিরাজুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান মাস্কাট রুটে আকস্মিকভাবে বড় ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বড় ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সেখানে আটকে পড়েছেন। সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মরদেহ পরিবহন এবং অসুস্থ যাত্রী পরিবহনেও। প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি ওমানের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত।

দেশে ফেরা এবং ওমানে যাওয়ার জন্য একমাত্র চালু রয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে এতদিন চালু ছিল ৪১৯ আসনের বড় ফ্লাইট। কিন্তু হজ মওসুম শুরু হওয়ার পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বড় ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে চালু করা হয়েছে ১৬২ আসনের ছোট ফ্লাইট। কিন্তু ছোট ফ্লাইটে মরদেহ পরিবহন করা হয় না। এতে বিভিন্ন হাসপাতালে বহু মরদেহ পড়ে রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক বাংলাদেশ বিমান প্রবাসীদের মরদেহ পরিবহন করে বিনা খরচে। এই সুবিধায় বাংলাদেশ বিমানেই দেশে পাঠানো হয় প্রবাসীদের মরদেহ। ফ্লাইট সংকটে বাংলাদেশগামী যাত্রীরাও আটকে পড়েছেন। বাড়ি আসার জন্য সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকা এসব প্রবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই। অনেকের ছুটিও শেষ হয়ে যাচ্ছে বাড়ি আসার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে। কারণ, বর্তমানে বিমানে আগের তুলনায় অর্ধেকের কম যাত্রী দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। অনেক অসুস্থ প্রবাসীও দেশে আসতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর হজ মওসুম এলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করে বাংলাদেশ বিমান মাস্কাট রুটে বড় ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। এ বছরও তা করেছে। এর ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট