চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চাঁদে যাওয়ার তোড়জোড়ে ভারত ও চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০১৯ | ১১:১৭ অপরাহ্ণ

১০ হাজার বছরের জন্য পৃথিবীতে শক্তির যাবতীয় চাহিদা মেটাতে পারে হিলিয়াম মৌলের একটি বিশেষ আইসোটোপ ‘হিলিয়াম-৩’।পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ ও সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ চাঁদে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ‘হিলিয়াম-৩’। চাঁদের মাত্র ৪০ গ্রাম হিলিয়াম-৩ মৌল থেকে পৃথিবীতে ৫ হাজার কিলোগ্রাম ও জনের কয়লা পোড়ালে যতটা শক্তি উৎপাদন হয় ততটাই শক্তি তৈরি হয় । আর এই কম পরিমাণ মৌল থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তি তৈরি করার ধারণা সম্পর্কে জানার পর ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো চাঁদে ছুটছে ।কারণ চাঁদে রয়েছে হিলিয়াম-৩, যা অপ্রচলিত উপায়ে শক্তি উৎপাদনের অন্যতম হাতিয়ার।

 

পৃথিবীতে শক্তি উৎপাদনে কীভাবে কাজে লাগবে হিলিয়াম-৩?

আমাদের এই গ্রহের তিন ভাগই জল (পানি)। বাকি এক ভাগ স্থল। পৃথিবী কার্যত ভরে রয়েছে সাগর, মহাসাগরে। সেই পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডয়টেরিয়াম অক্সাইড (D2O)। এ ডয়টেরিয়াম অক্সাইডের সঙ্গে পরমাণু চুল্লিতে হিলিয়াম-৩ মৌলের বিক্রিয়া ঘটালেই জন্ম হতে পারে বিপুল পরিমাণ শক্তির।

এখন যেটা ভাবা হচ্ছে, তা হল- তেজস্ক্রিয় বিকিরণহীন পরমাণু বিদ্যুৎ প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের জন্য চাঁদের বালিকণা ও ধুলোবালি (রেগোলিথ) থেকে ওই হিলিয়াম-৩ মৌলটিকে নিষ্কাশন করে সেটাকেই ক্যাপসুলে ভরে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে ও কিছুটা দিয়ে চাঁদেই পরমাণু চুল্লিতে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য চাঁদে শিল্পাঞ্চল ও গড়ে তোলা হবে । চাঁদে এ শিল্পাঞ্চল গড়তে ৩০ বছর সময় লাগবে।

পূর্বকোণ/তাসফিয়া

 

শেয়ার করুন