চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শরণার্থী ঠেকাতে ইংলিশ চ্যানেল পাহারায় বিশেষ বিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০২১ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সকে বিভক্তকারী ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে সম্প্রতি ২৭ জন শরণার্থীর প্রাণহানি হয়েছে। গত বুধবারের সেই ঘটনায় প্রাণ হারানো শরণার্থীদের ১৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং তিন জন শিশু। শরণার্থী মৃত্যু নিয়ে এরপরই ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের মধ্যে পত্রযুদ্ধ শুরু হয়। এছাড়া জরুরি বৈঠকে ইংলিশ চ্যানেলে টহলদারি বিমানের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফ্রনটেক্স বিমান দিন-রাত সেখানে টহল দেবে।

গত বুধবারের নৌকাডুবির ওই ঘটনার আগে ইংলিশ চ্যানেলে এতো বড় দুর্ঘটনা আগে হয়নি। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে জরুরি আলোচনার ডাক দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনের কথা জানায়।
রোববারের বৈঠকে জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যুক্তরাজ্য বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করে। এর মূল কারণ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁকে লেখা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের খোলা চিঠি।

চিঠিতে এই দুর্ঘটনার জন্য কার্যত ফ্রান্সকেই এককভাবে দোষী করেছেন বরিস। দুইপাতার চিঠিতে ইংলিশ চ্যানেলে শরণার্থীদের যাতায়াত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বরিস জনসনের খোলা চিঠি পেয়ে স্বভাবতই প্রত্যাঘাত করেছে ফ্রান্স। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর মন্তব্য, ‘বরিস সিরিয়াস নন।’

এরপরেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। ফলশ্রুতিতে প্রীতি প্যাটেল ওই বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করেন।

রোববারের বৈঠকে ফ্রান্স ছাড়াও উপস্থিত ছিল জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো। সকলেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন, যেভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শরণার্থীরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন, তা বন্ধ করতে হবে। ওই অঞ্চলে গড়ে ওঠা পাচারকারী সংস্থাগুলোর ওপর নজরদারি চালাতে হবে। দেখতে হবে, যাতে একটিও নৌকা চ্যানেলে নামানো না হয়। এর জন্যই ফ্রনটেক্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের বিমান দিনরাত ইংলিশ চ্যানেলের ওপর টহল দেবে বলে ঠিক হয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রাণের দায়, পেটের দায়ে শরণার্থীরা ইউরোপে ঢুকতে চাইছেন। আফগান, ইরাকি, সিরিয়ান, সুদানের শরণার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেলে আর প্রাণহানি হতে দেওয়া যাবে না। ফলে যারা শরণার্থীদের ছোট ছোট নৌকায় তুলে দিচ্ছে, তাদের ওপর নজরদারি চালাতে হবে। অবৈধভাবে ইউরোপে আর শরণার্থী ঢোকানো যাবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন