প্রাথমিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে তিন দলের জোটের রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠছে জার্মানিতে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরেই জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস। সরকার গঠন করতে এসপিডির সঙ্গে আলোচনায় বসেছে এফডিপি ও সবুজ দল। ফলে ২৬ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর যে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছিল তা কাটছে।

ডয়চে ভেলের খবরে জানানো হয়, একাধিক ক্ষেত্রে তিন দলের ভিন্ন অবস্থানের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে আগামী বুধবার থেকে তিন দলের বিশেষজ্ঞ রাজনীতিকদের ২২টি গোষ্ঠী কাজ শুরু করবে। ১০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ঐকমত্যের খসড়া প্রস্তুত করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত যে সব বিরোধের মীমাংসা সম্ভব হবে না, সেগুলির ক্ষেত্রে মতপার্থক্য দূর করতে আসরে নামবেন তিন দলের প্রধান মধ্যস্থতাকারীরা।

সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতেই বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, রাতে বা সপ্তাহান্তে সেই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবার কোনো পরিকল্পনা নেই। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে নভেম্বের মাসের শেষেই কোয়ালিশন চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হয়ে যাবার কথা। তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তারপর তিন দলকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই খসড়া অনুমোদন করাতে হবে। সবুজ দল ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে দলের সায় নিতে চায়। এফডিপি এক জরুরি দলীয় সম্মেলনে সরকারে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাবে। এসপিডি দল আগামী সোমবার সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।

জার্মানিতে ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন’ সরকার গড়ার লক্ষ্যে এমন পেশাদারি মনোভাব যথেষ্ট সম্ভ্রম কুড়াচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তিন দলের নেতারা যথেষ্ট পরিণতমনস্কতা দেখিয়ে এসেছেন।তিন দলই বিরোধী আসনে না বসে ক্ষমতাকেন্দ্রের অংশ হয়ে আগামী চার বছর নিজস্ব নীতি যতটা সম্ভব কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চালানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায় এই তিন দল।

জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক সময়ে কার্যকর করতে পারলে ম্যার্কেল মাত্র কয়েক দিনের জন্য চ্যান্সেলর হিসেবে দীর্ঘতম কার্যকালের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন না। হেলমুট কোলই সেই কৃতিত্বের দাবিদার থেকে যাবেন।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ