ছয় পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে ইরান সফরে রয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের শীর্ষ কূটনৈতিক উপদেষ্টা এমানুয়েল বন। বুধবার (১০ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের চিঠি হস্তান্তর করেন তিনি।
বুধবার সফরে এসেই ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভির সঙ্গে বৈঠক করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা এমানুয়েল বন। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় রুহানির হাতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের চিঠি তুলে দেন এমানুয়েল বন। খবর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের লিখিত বার্তা গ্রহণ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান সবসময় সমাধানের কথা বলে বিধায় আলোচনা ও কূটনীতির পথ সম্পূর্ণ খোলা রেখেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হাসান রুহানি বলেন, ফ্রান্সের প্রচেষ্টায় পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী সব পক্ষ এ সমঝোতাকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করছে তেহরান।
উল্লেখ্য, পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে- এই শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব একশন (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিতে সই করে ইরান। শুরু থেকেই চুক্তির প্রতিটি শর্তই মেনে আসছে তেহরান।
এরপরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ওই সমঝোতা থেকে বেআইনি ও একতরফাভাবে আমেরিকাকে বের করে নেন। সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে তুলে নেয়া সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণে ইরানও পরমাণু সমঝোতার কয়েকটি ধারা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সই করা পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা অতিক্রম করে ৩০০ কেজি ওপর ছাড়িয়েছে দেশটি।
পূর্বকোণ/রাশেদ