চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আফগানিস্তানে নারী মন্ত্রণালয় হচ্ছে নৈতিকতা মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

আফগানিস্তানে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিতে চাইছে তালেবান। এ মন্ত্রণালয়কে নীতিনৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদল করার চেষ্টা চলছে। একসময় এ মন্ত্রণালয় কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারের আমলে এ দপ্তর ছিল।

শুক্রবার কাবুলে মন্ত্রণালয়ের ভবনে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিল মুছে দিয়ে নৈতিক পুলিশের সিল প্রতিস্থাপন করেছেন শ্রমিকরা। বিভাগটির সাবেক নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেছেন, তাদের ভবনের বাইরে তালা দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশিত ছবি এবং রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনটি দারি এবং আরবি মিশ্রিত চিহ্ন দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। শুক্রবার সেখানে ‘প্রার্থনা ও নির্দেশনা মন্ত্রণালয় এবং পুণ্যের প্রচার এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ’ লেখা দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আফগানিস্তানের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে। এতে দেখা যায়, নারীরা কর্মস্থলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা ভেতরে ঢুকতে চাইছেন কিন্তু তালেবান সদস্যরা তাঁদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। তবে এ ঘটনা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ এর আগে যখন তালেবান ক্ষমতায় ছিল, তখন নারীরা বাইরে কাজ করতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার ভবনের গেটগুলো তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে আজ (শনিবার) থেকে কাবুলের বয়েজ (ছেলেদের) স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে মেয়েদের স্কুলগুলো কখন খুলবে সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি তালেবান সরকার। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কাবুলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

তালেবানের ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসন আমলেও এই পাপ-পুণ্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিল। কিন্তু ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারকে উৎখাত করে হামিদ কারজাইকে ক্ষমতায় বসালে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় নামকরণ করেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন