চীনে ভয়াবহ টাইফুন ইন-ফা আঘাত হানতে পারে বলে সেখানকার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া পাতাল রেলের গতি কমিয়ে দেওয়া কিংবা যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

রবিবার (২৫ জুলাই)স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই ও তার পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানতে যাচ্ছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

চীনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে সম্প্রচারক সিসিটিভি বলছে, পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াংয়ে বড় বন্দর ঝাউসানের পুটুয়া জেলায় স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১২টায় আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে টাইফুন ইন-ফার প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশটির হাংঝু প্রদেশের সব কটি ফ্লাইট বাতিল করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও শনিবার থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে ঝেজিয়াং প্রদেশের রেল চলাচল।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বহু মানুষ। টাইফুনটি বর্তমানে ঝেজিয়াং প্রদেশের ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে।

ইন-ফার প্রভাবে এরইমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এদিকে হেনান প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ১২ লাখের বেশি মানুষ।

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ বন্যায় প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন অবকাঠামোসহ ধ্বংস হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হেনান প্রদেশের যেদিকে চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বিভিন্ন স্থাপনায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, সড়কে নৌকা দিয়ে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।

বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। নেই বিদ্যুৎ। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে চলছে জোর চেষ্টা। উদ্ধার অভিযানে গতি বাড়াতে যোগ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

হেনান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ উপ-পরিচালক লি চাংজুন বলেন, সামনে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। আমাদের আগেই সতর্ক হতে হবে। বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে। হেনান প্রদেশের সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্বকোণ/এএ