চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে ভবন ধসে নিখোঁজ ৯৯, নিহত ১

২৫ জুন, ২০২১ | ১২:১৮ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সৈকত অভিমুখী ১২ তলা একটি ভবন ধসে নিখোঁজ রয়েছেন ৯৯ জন, আর এ ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবন ধসের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পরে আছে শতাধিক লোক। সরকারি তথ্যমতে নিখোঁজ রয়েছেন ৯৯ জন। বৃহস্পতিবার ধসে যাওয়া ভবনের একটি অংশ এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ধসের সময় ভবনের ভেতরে ঠিক কতজন ছিলেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ধসের ফলে চ্যাম্পলাইন টাওয়ার নামক ভবনটির ১৩০ ইউনিটের অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিয়ামির সার্ফসাইড শহরে ওই ভবনটি ১৯৮০ সালে নির্মিত হয়। ওই ভবনে বাস করা বেশ কয়েকজন লাতিন আমেরিকান অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তাদের কনস্যুলেট।
গবেষকরা বলছেন, ১৯৮১ সালে নির্মিত ভবনটি ১৯৯০ সাল থেকেই দেবে যাচ্ছিল। এ ব্যপারে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থ অ্যান্ড এনভায়ারনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শিমন উইডোইনস্কি ২০২০ সালে সর্বশেষ একটি গবেষণায় এ ব্যপারে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছর ভবনটি ২ মিলিমিটার করে দেবে যাচ্ছিল। তখন থেকেই এটি যে কোনো সময় ধসে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী উদ্ধারকর্মীরা ৩৫ জনকে উদ্ধার করেছেন। এদের মধ্যে ১১ জন গুরুতর আহত। উদ্ধার কাজে প্রশিক্ষিত কুকুর এবং ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
পুলিশ বলেছে, ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিলেন তা জানা যায়নি।
মিয়ামি-ডেড এলাকার মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন ক্যাভা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৯৯ জন নিখোঁজ আছেন।নিখোঁজদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ঠিক কতজন এখনো আটকা পড়ে আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এই ভবনের পাশেই আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে তা এখনো জানা যায়নি। সার্ফসাইডের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সূত্র : আলজাজিরা ও ইউএসটুডে

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন