চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তিন বছরে ১০ লাখ চাকরি দেবে রিলায়েন্স রিটেল!

২৫ জুন, ২০২১ | ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতে আগামী তিন বছরে রিলায়েন্স রিটেল আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি বার্ষিক সাধারণ সভায় এ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে তিন থেকে পাঁচ গুণ বাড়বে রিলায়েন্স রিটেলের ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘করোনার এই কঠিন সময়েও রিলায়েন্স রিটেল ৬৫ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে রিলায়েন্স রিটেলের ২ লাখ কর্মচারী রয়েছে। ফলে আমরা এখন দেশে অন্যতম বৃহত্তম নিয়োগকারী সংস্থা। আগামী তিন বছরে রিলায়েন্স রিটেল দশ লাখের বেশি কর্মী নিয়োগ করবে। এর পাশাপাশি আরও বহু মানুষের উপার্জনের পথও তৈরি করে দেবে।’
মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, আজিও ডিজিটাল মাধ্যমে পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। প্রায় ২ হাজার ব্র্যান্ডের পোশাক আজিওতে পাওয়া যায়। রিলায়েন্সের পোশাক ব্যবসার ২৫ শতাংশই এখন আজিও থেকে আসছে। এর পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রেও চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি হয়েছে রিলায়েন্স রিটেলের ব্যবসায়। দৈনিক প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং বছরে সাড়ে চার কোটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করেছে। রিলায়েন্স রিটেল প্রতিদিন ৩০ লাখ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করেছে। বাৎসরিক হিসেবে যা ১০০ কোটির বেশি। জিও মার্ট-এ একদিনে সর্বাধিক সাড়ে ৬ লক্ষ অর্ডার নথিভুক্ত হয়েছে।
মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘গত বছর রিলায়েন্স রিটেল প্রতিদিন পাঁচ লাখ ইউনিট পোশাক বিক্রি করেছে। বছরে ১৮ কোটির বেশি পোশাক বিক্রি করা হয়েছে। যা সম্মিলিত ভাবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং স্পেনের জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাকের সমান।’
রিলায়েন্স রিটেলের কর্মীদের উদ্দেশে মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘আমাদের ভাবনা খুবই সহজ। আমরা আপনাদের সবরকম সহযোগিতা করব যাতে আপনারা ক্রেতাদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারেন।’
ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূলত পাঁচটি কৌশল নিয়েছে রিলায়েন্স রিটেল। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা, নকশা তৈরি এবং পণ্যের মান উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে। স্থানীয় পণ্য উৎপাদক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা হবে। সংস্থার পণ্য পরিষেবা বিশ্বমানের করার জন্য গুদাম থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আরও বেশি করে নতুন স্টোর খোলার পাশাপাশি তৈরি করা হবে ডেলিভারি হাব। সর্বোপরি সাম্প্রতিককালে নেটমেডস, আর্বান ল্যাডারের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোকে অধিগ্রহণের যে কৌশল সংস্থা নিয়েছিল, তা বজায় রাখা হবে।
মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘রিটেল ব্যবসা যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে তা অন্তত তিন গুণ বাড়বে।’

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট