চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে নিজ দলেই রোষানলে বাইডেন

১৭ মে, ২০২১ | ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে নিজ দলেই রোষের মুখে পড়েছেন তিনি।
সিএনএন জানায়, ডেমোক্রেটরা বাইডেনের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ইসরায়েলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির দাবিও জানাচ্ছেন তারা।-বিডিনিউজ
ডেমোক্রেটিক পার্টির বামপন্থি উদারনৈতিক সদস্যরা ক্রমেই বাইডেনের তীব্র সমালোচনায় সরব হচ্ছেন। সামাজিক অন্যায়-অবিচার এবং বর্ণবাদ রুখে দাঁড়িয়ে জনগণকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেনের দল। কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সরকারি বিবৃতিতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে কথা বলার সেই পুরোনো ধরন ফিরে আসায় এবং মানবাধিকার উপেক্ষিত হওয়ায় দল এখন নিমজ্জিত হয়েছে কুৎসিত কোন্দলে। উদারনৈতিক ডেমোক্রেটরা এখন চান যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতেও ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটুক, যেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্ণবাদী নিপীড়নই দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন গত বুধবার তাদের বিবৃতিতে আমেরিকার পুরোনো ফরমূলার পুনরাবৃত্তি করে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে টুইটে এক বক্তব্যে ফের ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন। তার এই অবস্থানের জেরেই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এর বিরুদ্ধে সরব হন উদারনৈতিক ডেমোক্রেটরা।
নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি অ্যালেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ এক ভাষণে প্রশ্ন তুলে বলেন, “ফিলিস্তিনিদের কি বাঁচার অধিকার আছে? বাইডেন প্রশাসন যদি এক মিত্রকেই রুখে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে? তারা তাহলে কিভাবে মানবাধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার দাবি করে?
মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি রাশিদা তালিব গত শনিবারেই গাজায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভবনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, “ইসরায়েল গণমাধ্যমকে হামলার নিশানা করছে, যাতে বর্ণবাদের হোতা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধাপরাধ বিশ্ব দেখতে না পায়।”
মেরিল্যান্ডের ডেমোক্রেট ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, ইসরায়েলের পরিকল্পিত ফিলিস্তিন উচ্ছেদ অভিযানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হচ্ছে। তাছাড়া, সর্বোপরি বাইডেন প্রশাসনের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট