চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মিয়ানমারে ধর্মঘটের ডাক, বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১:৩৪ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং অং সান সু চিসহ রাজনীতিকদের আটকের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

বিবিসি জানায়, সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানান বিক্ষোভকারীরা। এতে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে খবরে জানানো হয়। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, আরও সেনা মোতায়েন এবং নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মিয়ানমারের জেনারেলরা দেশটিতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং অং সান সু চিসহ আটকদের মুক্তির দাবিতে চলা বিক্ষোভ ও আইন অমান্য কর্মসূচি বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে।

অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মং সৌংখা সোমবারের বিক্ষোভে যোগ দিতে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

“যাদের বাইরে আসার সাহস নেই, তারা ঘরে থাকুন। যেভাবেই হোক আমি বাইরে বের হব। আমি জেনারেশন জেডকে (চলতি শতকের দ্বিতীয় দশকে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে) প্রত্যাশা করছি। পার্টনাররা, চল একত্রিত হই,” রোববার রাতে ফেইসবুক পোস্টে এমনটাই লিখেছেন এ তরুণ রাজনৈতিক কর্মী। 

এদিকে আন্দোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সেনা সরকার। সামরিক কর্তৃপক্ষ জানায়, তরুণদের ‘সহিংসতায় উসকানি’ দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জান্তা সরকারের দেওয়া এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “২২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরিতে জনতার দিকে তাদের উস্কানি দিচ্ছে। প্রতিবাদকারীরা এখন জনগণকে, বিশেষত সংবেদনশীল কিশোর-কিশোরীদের এবং লড়াইয়ের পথে প্ররোচিত করছে। যেখানে তারা প্রাণহানির শিকার হচ্ছে।”

বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের দোষারোপ করে জান্তা সরকার জানান, বিক্ষোভের সময় সহিংসতার সৃষ্টিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছে বেশকিছু দল। যার ফলস্বরূপ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের পাল্টা গুলি চালাতে হয়।

এ পর্যন্ত ৩ জন বিক্ষোভকারীকে সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে বলেও খবরে বলা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন