চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিয়ানমারে ২ জন নিহতের ঘটনায় শীর্ষ অভিনেতা গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:২৫ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভে গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় দেশটির এক শীর্ষ অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার এই অভিনেতার বিরুদ্ধে সরকারি পেশাজীবীদের বিক্ষোভে যোগ দিতে প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।

সামরিক শাসনের অবসান এবং কারাবন্দি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি ও অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের শহর ও নগরগুলোতে চলা বিক্ষোভে শনিবার ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন, এ দিন মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ে পুলিশ ও সৈন্যরা; এ সময় দুই জন নিহত হন ও বহু লোক আহত হয়।

মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী নতুন নির্বাচন করে বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা তা বিশ্বাস করতে পারছে না।

সরকারি কর্মচারীদের ‘আইন অমান্য’ আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করার জন্য যে ছয় খ্যাতিমান ব্যক্তির বিরুদ্ধে উস্কানি-বিরোধী আইনে সেনাবাহিনী বুধবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল অভিনেতা লু মিন তাদের একজন। মিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তার দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইয়াঙ্গনে লু মিন বেশ কয়েকটি প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন।

তার স্ত্রী খিন সাবাই উ নিজের ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ইয়াঙ্গনের তাদের বাড়িতে পুলিশ এসে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। “তারা শক্তি প্রয়োগ করে দরজা খুলে তাকে ধরে নিয়ে যায়, তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমাকে জানায়নি। আমি তাদের থামাতে পারিনি। তারা আমাকে জানায়নি,” বলেছেন তিনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, মন্তব্যের জন্য তারা বারবার সামরিক মুখপাত্র জ মিন তুনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। তুন মিয়ানমারের নতুন সামরিক কাউন্সিলেরও মুখপাত্র।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তুন বলেছেন, সংবিধান মেনেই সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং জনগণের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তাতে সমর্থন দিচ্ছে। সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য প্রতিবাদকারীদের দায় দিয়েছেন তিনি। মিয়ানমারের আন্দোলনকারী গোষ্ঠী ‘এসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার’ শনিবার জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫৬৯ জনকে গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত অথবা কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আটকের পর থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে আর দেখা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ সু চির বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট