চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও একই সুরে কথা বলেছিল। কিন্তু তারা এ লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে এই কারাগারে জঙ্গি সন্দেহে মানুষকে বন্দী করা হয়। তাদের ওপর চলে নানা নির্যাতন। গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের আমলে এই কারাগার বন্ধের সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন পাসাকি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসন এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুয়ানতানামো কারাগার রেখে দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন।

ওবামা তার শাসনামলে চেষ্টা করেও কংগ্রেসের কারণে গুয়ানতানামো বন্ধ করার কাজে সফল হতে পারেননি। ওই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়ানতানামো কারাগার চালু রাখার ঘোষণা দেন। সে সময় ট্রাম্প বলেন, মন্দ লোকজনকে দিয়ে কারাগারটি ভর্তি করা হবে। জর্জ বুশের সময় থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা জঙ্গি সন্দেহে লোকজনকে আটক করে করে এই কারাগারে রেখেছেন। এখনো সেখানে ৪০ জন বন্দী আটক থাকার কথা জানা যায়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ভয়ংকর জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে ‘জঙ্গিদের’আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কারাগার চালু করেন। দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে কারাগারটি অবস্থিত। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। খাঁচার ভেতর বেড়ি ও হাতকড়া পরা কয়েদিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর এই কারাগার ঘৃণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয় মানুষের কাছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট