ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসে একটি বাঁধের ওপর পড়ার ঘটনায় ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭০ জন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে জোশীমঠে নন্দাদেবীর হিমবাহ ধসে চামোলি জেলার তপোবন এলাকার রানি গ্রামে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে বানের তোড়ে ভেসে গেছে আশপাশের ঘরবাড়িসহ পুরো এলাকা।
পানির চাপে রেইনি গ্রাম এলাকায় হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত বহু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, শুধু বরফগলা পানি নয়, কাদা, পাথর ও নুড়ির স্রোত প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে। সামনে যা পেয়েছে তাই গুঁড়িয়ে দেয় ওই ভয়ংকর স্রোত।
এই স্রোতের পেছনে নদীর ওপর ইচ্ছেমতো বাঁধ নির্মাণকে দায়ী করছেন পরিবেশবিদ ও ভূগোলবিদেরা। তারা বলছেন, হিমবাহ থেকে পানি গলে তা বাধাহীন ভাবে বয়ে গেলে এত ক্ষতি হতো না। কিন্তু তা এসে ধাক্কা খেয়েছে বাঁধে। বাঁধের পেছনে পানির সঙ্গে প্রচুর কাদা, পাথর জমে থাকে। বাঁধ ভাঙার সময় সেগুলোও পানির সঙ্গে মিশেছে।
পূর্বকোণ/এএইচ