চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এশিয়ার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড মাদক সম্রাট’ নেদারল্যান্ডে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

এশিয়ার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড মাদক সম্রাট’ সে চি লপকে গ্রেপ্তার করেছে নেদারল্যান্ডের পুলিশ। শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডের আমস্টার্ডামের শিপোল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সে চি লপ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মাদক অপরাধী দলের কথিত প্রধান ‘ড্রাগ লর্ড’ হিসেবে পরিচিত। চীনা বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক সে চি লপের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া বহু আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বলা হচ্ছে, চীনে জন্ম নেওয়া কানাডার নাগরিক সে চি লপ এশিয়াজুড়ে ৭০ বিলিয়ন ডলারের অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী ‘দ্য কোম্পানির’ প্রধান।
৫৬ বছর বয়সী সে-কে মেক্সিকোর মাদক সম্রাট হুয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজম্যানের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বিশ্বের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই ফেরারি আসামিকে শুক্রবার আমস্টার্ডামের শিপোল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, ওই সময় সে কানাডার একটি ফ্লাইটে উঠতে যাচ্ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এক দশকের বেশি সময় ধরে সে-কে অনুসরণ করছিল। এখন বিচারের মুখোমুখি করতে তার প্রত্যর্পণ চাইবে দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের বিশ্বাস, তাদের দেশে প্রবেশ করা সব ধরনের অবৈধ মাদকের ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী দ্য কোম্পানি, যা ‘স্যাম গোর সিন্ডিকেট’ নামেও পরিচিতি।
এক বিবৃতিতে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ২০১৯ সালে জারি হয়েছিল, নেদারল্যান্ডসের পুলিশ ইন্টারপোলের নোটিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।
“ইতোমধ্যেই তার নাম মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়,” বলেছেন নেদারল্যান্ডস পুলিশের একজন মুখপাত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ২০১৯ সালে সে-কে নিয়ে একটি বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাকে ‘এশিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’ বলে বর্ণনা করেছিল।
জাতিসংঘের হিসাব উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছিল, তার সিন্ডিকেট ২০১৮ সালে শুধু মেথামফেটামিন বিক্রি করে ১৭ বিলিয়ন ডলারের মতো আয় করেছিল।
রয়টার্সের ভাষ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের নেতৃত্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০টি সংস্থা সে-কে গ্রেপ্তারের উদ্যোগে শামিল ছিল, এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন কুংগুর’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে ম্যাকাও, হংকং ও তাইওয়ানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে গুঞ্জন আছে।

১৯৯০ এর দশকে মাদক পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়ে নয় বছর কারাগারে ছিল সে। তার গ্রেপ্তারকে দুই দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ সাফল্য বলে বর্ণনা করেছে দেশটির গণমাধ্যম।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট