চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জন দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার (বিএনপিবি) বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধসেপড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের ভেতরে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকালে শক্তিশালী ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে সুলাওয়েসি দ্বীপের মাজেনে শহরে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মাজেনে শহর থেকে ৩ দশমিক ৭৩ মাইল উত্তর-পূর্বে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে হতাহতের পাশাপাশি অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছেন। কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
আরও ভূমিকম্প হতে পারে এবং তা সুনামি ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্প ৩০০ ঘরবাড়ি, দুটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া একটি হাসপাতাল ও প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় ধসে পড়েছে।
এসব জায়গায় ধ্বংসস্তুপের নিচে কিছু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কয়েক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকায়, সেতু ক্ষত্রিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা প্রাথমিকভাবে মাজেনি শহরে চারজনের মৃত্যু এবং ৬৭৩ জনের আহত হওয়ার খবর দেয়। পরে ধীরে ধীরে আশপাশের এলাকা থেকেও হতাহতের খবর আসতে থাকে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান দ্বিকোরিতা কার্নাওয়াতি শনিবার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প হতে পারে, সেটি সুনামিরও কারণ ঘটাতে পারে। সে কারণে স্থানীয় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ার’ (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) এর উপর ছড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের পরও সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। ওই ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

নতুন বছরের মাত্র দুই সপ্তাহ পার হয়েছে, এরই মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটি ফের বেশ কয়েকটি দুর্যোগের মুখে পড়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন