চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মানবপাচারের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশির ৪৬ মাসের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০২১ | ৬:২৫ অপরাহ্ণ

মেক্সিকো থেকে বহিরাগতদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারে জড়িত থাকার দায়ে এক বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এইকসাথে কারাবাসের শেষে পরবর্তী ৩ বছর তাকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখার আদেশ দেয়া হয়। দণ্ডিত ওই বাংলাদেশির নাম মোক্তার হোসেন (৩১)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোক্তার হোসেন একসময় মেক্সিকোর মন্টেরিতে থাকতেন। এ মামলার বিচারের সময় তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ এর আগস্ট পর্যন্ত সময়ে অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করার পরিকল্পনায় জড়িত ও তাদের তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।

এ কাজের জন্য মন্টেরিতে যুক্তরাষ্ট্রগামী অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি একটি হোটেলের ব্যবস্থা রাখেন। এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য হোসেন গাড়িচালকদের অর্থ দিতেন ও কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিতেন।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া মোক্তার গতবছর আগস্টে আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তার সাজার রায় আসে। টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নির কার্যালয়ের সহায়তায় এই মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশনের হিউম্যান রাইটস এন্ড স্পেশাল প্রসেকিউশনস সেকশনের ট্রায়াল এটর্নি জেমস হেপবার্ন ও এরিন কক্স।

ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী এটর্নি জেনারেল ডেভিড পি বার্নসকে উদ্ধৃত করে দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মামলার আসামি মুনাফার জন্য কাজ করতেন ও যেসব বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ইচ্ছুক তাদের শিকার বানাতেন। তিনি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। এই দণ্ডাদেশ এ ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা হিসাবে কাজ করবে, যারা আর্থিক লাভের জন্য আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঠেলে দেয়।”

টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা পরস্পর সম্পৃক্ত। আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে এবং কাউকে আমরা অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। আমার অফিস সকল সহযোগী সংস্থার সাথে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।”

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন