যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক সিরিয়াল রেপিস্টকে ৮৯৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম রয় চার্লস ওয়ালার (৬০)। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) অপহরণ, ধর্ষণ, ওরাল যৌনক্রিয়া, বলাৎকার ও বিদেশে অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্থানীয় একটি আদালত এই রায় দেয়। রয় চার্লস ওয়ালার তার অপরাধের কারণে ‘নরক্যাল রেপিস্ট’ বা নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ধর্ষণকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। খবর সিএনএন’র।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৯ জন নারীর ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন করার কারণে ৪৬টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এই নরক্যাল রেপিস্টকে। ওই নারীরা আদালতে অত্যাচারিত হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন। বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী ওয়ালার নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়া কাউন্টিতে নির্যাতন করেছে ৬ জন নারীকে। বেশির ভাগ সময়ে তাদের ঘরে জোর করে প্রবেশ করত সে। ভিকটিমকে বেঁধে ফেলে বার বার তাদের ওপর যৌন নির্যাতন করত।

স্যাক্রামেন্টো পুলিশ ডিটেক্টিভ এভিস বেরির মতে, সিরিয়াল ধর্ষণকারী ওয়ালার সাধারণত রাতের বেলা অপরাধে নামত। কখনো কখনো নারীদের অপহরণ করত। কখনো বা তাদের বিভিন্ন এটিএমে নিয়ে যেত। সেখানে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত সে। এছাড়া সে ওইসব নারীর বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরি করতো। ২০০৬ সাল থেকে পুলিশ এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে নামে। তাতে ৬টি ঘটনার সঙ্গে সন্দেহজনক একজনের ডিএনএ’র সম্পর্ক পাওয়া যায়। তবে এই সন্দেহজনক ব্যক্তি যে ওয়াকার এ বিষয়টি চিহ্নিত করতে পারছিলেন না তারা। কারণ, রাজ্যের অপরাধ বিভাগে ডিএনএ’র ডাটাবেজ ছিল না। অবশেষে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জট খোলে। তদন্তকারীরা ইনভেস্টিগেটিভ জেনেটিক জিনিয়ালোজি (আইজিজি) তদন্ত শুরু করেন। এর মাধ্যমে সন্দেহভাজন কিছু অপরাধীর আত্মীয়স্বজনকেও রাখা হয়। এ অনুসন্ধান ওয়ালারকে সনাক্ত করতে সহায়তা করে।

ডিস্ট্রিক্ট এটর্নির মতে, আইন প্রয়োগকারীদের সঙ্গে এসব ডিএনএ পরীক্ষার তথ্য শেয়ার করা হয়। ফ্যামিলি ট্রি বা পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে তদন্ত চলতে থাকে। একপর্যায়ে ফোকাস পড়ে ওয়ালারের ওপর। ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’ শনাক্ত করতে একই ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর কয়েকদিনের মধ্যে বার্কলিতে কর্মস্থল থেকে ওয়ালারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পূর্বকোণ/আরপি