চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে প্রথম দফার ভোটে প্রথম বরিস

পূর্বকোণ ডেস্ক

১৪ জুন, ২০১৯ | ২:২৪ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেরেমি হান্টের চেয়ে তিনগুণ ভোট পাওয়া বরিসই দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ১৭ ভোটের বেশি পেয়ে লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন মোট সাতজন। জেরেমি হান্ট,
। ৯ম পৃষ্ঠার ৫ম ক.

মাইকেল গোভদের সঙ্গে তালিকায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদও। নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক হার্পার, আন্দ্রেয়া লিডসাম ও এস্থার ম্যাকভি। খবর বিবিসির। ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যর্থ হয়ে গত সপ্তাহেই দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন তেরেসা মে। এর আগে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পরই শুরু হয় নতুন করে নেতা নির্বাচনের লড়াই। সোমবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা দাখিল করার শেষ দিন। এদিন সর্বমোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। শুরু হয় প্রচার-প্রচারণা। তিনদিন একটানা প্রচারণা শেষে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নি¤œ কক্ষ হাউস অব কমন্সে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। এদিন দলের ৩১৪ জন এমপির মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩১৩ জন। খবরে বলা হয়, সর্বোচ্চ ১১৪টি ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন বরিস। ৪৩ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে জেরেমি ও ৩৭ ভোট নিয়ে তৃতীয় মাইকেল গোভ। ২৭ ভোট পাওয়া ডমিনিক রাবের পরে রয়েছেন প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী সাজিদ জাভিদ। এ ধাপের লড়াইয়ে টিকে থাকা সাত প্রার্থীকে নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের ভোট হবে। এভাবে কয়েক দিনের সিরিজ ভোটের মাধ্যমে টোরি এমপিরা চূড়ান্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচিত করবেন। ওই দু’জনের মধ্যে দলের পরবর্তী নেতা কে হবেন, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে সে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের নিবন্ধিত সদস্যরা। আগামী সপ্তাহেই অর্থাৎ জুনের ২২ তারিখে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত নেতা ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পদে বসার পাশাপাশি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রথম ধাপের প্রথম হওয়ার বেশ খুশি বরিস। তিনি বলেছেন, প্রথম ভোটে প্রথম হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। তবে আমাদের আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার নির্বাচনী প্রচারে অক্টোবরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কী করে এই পদক্ষেপ কার্যকর করবেন, সে সম্বন্ধে বিস্তারিত না জানালেও ‘চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট’ তার লক্ষ্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন