আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কঠোরতা আরোপ করে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। সবার জন্য করোনাভাইরাস টিকা আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হতে পারে। ওই সময়ে বিদেশগামী কোনো যাত্রীকে অবশ্যই বিমানে উঠতে হলে তাকে কিছু বাধ্যতামূলক শর্তের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস বিমান সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলান জয়সে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেছেন, ফ্লাইটের শুরুতে পায়ের গোঁড়ালিতে ব্রেসলেট পরা থেকে শুরু করে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। বিমানের স্যুয়ারেজ পরীক্ষা করা হবে। বাধ্যতামূলক টিকা নিতে হবে। খবর ডেইলি মেইল’র।
এলান জয়সে বলেন, আন্তর্জাতিক সফরকারীদের জন্য বিমানে উঠার আগে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। যেসব পর্যটক অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন অথবা যেসব মানুষ অস্ট্রেলিয়া থেকে বাইরের দেশে যাবেন, তাদের জন্য এই টিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই টিকা সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক সব ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা উচিত হবে। এ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য বিমান সংস্থার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ইতিমধ্যে ১২ বছরের ওপরে বয়সী কোনো ভ্রমণকারী কোয়ারেন্টBন ফ্যাসিলিটিতে অবস্থান না করে সিঙ্গাপুরে গেলে তাকে অবশ্যই একটি নজরদারিকারী ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরতে হয়। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম নীতি রয়েছে। ওদিকে সুনির্দিষ্ট ভাড়া করা বিমানে করে আন্তর্জাতিক কোনো কর্মী যদি পাপুয়া নিউগিনিতে যান তাহলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পায়ের গোঁড়ালির কাছে একটি ব্রেসলেট পরতে হয়। সেখানে তারা দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। এ সময় তাদেরকে এই ব্রেসলেট পরতেই হয়। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য একই রকম নীতি গ্রহণ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন এলান জয়সে।
পূর্বকোণ/আরপি