যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো দুলছে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জো বাইডেনের ভাগ্য। বারবার উল্টো যাচ্ছে হিসাবের খাতা। জটিল এই হিসাব নিকাশের দোলাচলে প্রায় অনিশ্চিত কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট।

এর মধ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ২৩৮টিতে জয় পেয়েছেন জো বাইডেন আর ২১৩টিতে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। সেই হিসাবে বাইডেনকে আরো ৩২টি আসন ও ট্রাম্প আরও ৫৭টি ভোট পেতে হবে।

এই অবস্থায় ৬টি রাজ্যের ফল ঘোষণার বাকি রয়েছে। রাজ্যগুলো হল- উইসকনসিন, মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া, মেইনে, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়া। এর মধ্যে উইসকনসিনে শতকরা ৪৯.৪ ভাগ ভোট পেয়ে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ও ট্রাম্প পেয়েছেন শতকরা ৪৯.১ ভাগ ভোট। এ রাজ্যে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ১০টি। নর্থ ক্যারোলিনায় শতকরা ৫০.১ ভাগ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প ও শতকরা ৪৮.৭ ভাগ ভোট পেয়েছেন জো বাইডেন। রাজ্যটিতে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে মোট ১৫টি। জর্জিয়াতেও শতকরা ৫০.৫ ভাগ পেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প ও বাইডেন পেয়েছেন শতকরা ৪৮.৩ ভাগ ভোট। এই রাজ্যে মোট ইলেকটরাল ভোট ১৬টি। আবার মেইনে বিজয়ী হয়েছেন বাইডেন। সেখানে আছে ৪টি কলেজিয়েট ভোট।

নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর দিচ্ছিল, যারা আগাম ভোট বা মেইলে ভোট দিয়েছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই ডেমোক্রেট সমর্থক। যদি তাই হয়, তাহলে এই ৬টি রাজ্যে সামান্য পিছিয়ে থাকা জো বাইডেন ঝলক মারতে পারেন। নাটকীয় জয় পেতে পারেন তিনি। উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও মিশিগান মিলিয়ে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আছে ৫৭টি। বাইডেনের জয়ের জন্য এত কলেজ ভোট প্রয়োজন নেই। তার মাত্র ৩২টি ভোট হলেই চলে। মেইলের ভোটগুলো গণনা হলে তার জন্য এই ৩২টি ভোট সংগ্রহ অসম্ভব নয়। ফলে আশা না ছেড়ে তিনি নেতাকর্মী, সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এসব রাজ্যে লাখ লাখ ভোট গণনার বাকি থাকতেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণাকে ডেমোক্রেট দলের প্রচারণা ব্যবস্থাপক জেন ও’ম্যালি ‘গর্হিত, নজিরবিহীন এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এরই মধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বড় জয়’ ঘোষণা দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে জো বাইডেন এখনও জয়ের ‘আশা’ শেষ হয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন।

পূর্বকোণ/আরপি