চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরষ্ক-গ্রিসে নিহত বেড়ে ২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩১ অক্টোবর, ২০২০ | ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

এজিয়ান সাগরে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও গ্রিসে নিহত বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তুরস্কের উপকূলীয় ইজমির প্রদেশ। ভূমিকম্পের ধাক্কায় গ্রিসের সামোস দ্বীপসহ সূদূর রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলও কেঁপে উঠেছে।

ভূমিকম্পে দুই দেশেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে তুরস্কের ইজমির উপকূলের কিছু অংশ।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এজিয়ান সাগরের উপকূলে সৃষ্ট ভূমিকম্পওই ভূমিকম্পে দুই দেশে ৮ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও আরব নিউজের।

ভুমিকম্পের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ও গ্রিস উপদ্বীপে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হেনেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ইজমির শহরে লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে এসেছেন। সাগর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার পানি গ্রামের ধ্বংস হওয়া বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পানি সরে যাওয়ার পর তীরে মাছ আটকে পড়তেও দেখা গেছে।

তুরস্কের ডিজেস্টার এন্ড ইমারর্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্সি (এএফএডি) জানিয়েছে, ২০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। এছাড়াও ৮০০ জনের মতো লোক আহত হয়েছেন। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রদেশের ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইজমিরের মেয়র টিনক সোয়ার বলেন, প্রদেশটিতে অন্তত ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে শতাধিক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তুরস্কের অন্যতম পর্যটন শহর ইজমিরের বিভিন্ন শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরে লোকজনের আটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

সেফিরিহিসারের মেয়র ইসমাইল ইয়েটিসকিন বলেন, ভূমিকম্পে সমুদ্রের স্তর বেড়ে গেছে। ছোটখাট সুনামি আঘাত হেনেছে বলে মনে হচ্ছে।

আর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে ফ্রিজ, চেয়ার ও টেবিল ভাসছে।

শুধু তুরস্কই নয়, গ্রিসেও ভূমিকম্পে প্রাণহানি হয়েছে। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেয়াল চাপায় দুই ছাত্র নিহত হয়েছে, বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএসর তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭।

তবে এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬ বলছে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গ্রিসের ভূমিকম্প জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। গ্রিসের সরকারি টেলিভিশনে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের পর পূর্বাঞ্চলীয় এজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে ক্ষুদে-সুনামির সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট