চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রীলঙ্কায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান নারী ও শিশুসহ নিহত ১৫

২৮ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে রাতভর গোলাগুলির পর ছয় শিশুসহ ১৫ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দেশটির পুলিশের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ‘আস্তানায়’ অভিযানে গেলে দুর্বৃত্তরা ‘আত্মঘাতী’ বোমা হামলা চালায়। এতে ছয় শিশু, তিন নারীসহ ১৫ জন নিহত হন।-বিডিনিউজ
গির্জা-হোটেলসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ছয়দিন পর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটল বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত সপ্তাহের ওই সন্ত্রাসী হামলায় আড়াইশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সমন্বিত ওই হামলার জন্য ন্যাশনাল তওহীদ জামাত নামে একটি উগ্রবাদী সংগঠনকে দায়ী করছে লঙ্কান সরকার। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটও (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিস্তৃত অভিযানের । ১১ পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ ক.

মধ্যেই শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বাত্তিকোলা শহরের দক্ষিণে আম্পারার সাইন্থুমারুথু এলাকায় সন্দেহভাজন মুসলিম জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয় বলে কর্মকর্তারা জানান। রাতভর চলা এ সংঘাতের এক পর্যায়ে চার বন্দুকধারী ও এক বেসামরিকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। অভিযান শেষে সকালে মোট ১৫ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। বাত্তিকোলার যে জায়গায় এ গোলাগুলি হল, তার কাছের একটি স্থাপনাও রািববারের বোমা হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল।
দক্ষিণ এশীয় এ দেশটিতে আরও সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কও করেছে। জনসাধারণকে মসজিদ-গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় আপাতত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ। কলম্বে^ার আর্চবিশপ ম্যালকম রঞ্জিত শ্রীলঙ্কার ক্যাথলিক চার্চের রোববারের প্রার্থনা ও সব কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
খিস্টানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয়। এরপরই বাড়তে থাকে নিহত সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত ৩৫৯ এ গিয়ে ঠেকে। যা থেকে পরে গণনায় ভুল হয় বলে ১০৬ জন কমে ২৫৩ তে এসে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের তদন্তে সিরিয়া ও মিশরের বিদেশিসহ অন্তত ৭৬ জনকে আটক করেছে। এ হামলার পেছনে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত রয়েছে বলে জানিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে মঙ্গলবার হামলাটির দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। প্রমাণ হিসেবে হামলাকারীদের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে সংগঠনটি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট